সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর থানার গুঞ্জরিয়া এলাকার দুঃস্থ দম্পতি সামিরুল আলম ও শাহনাজ বেগম। তাঁরা ২২ দিনের শিশুকন্যাকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে গোয়ালপোখর থানার পোখরিয়া এলাকার বাসিন্দা নাসিয়া বেগমের কাছে বিক্রি করার জন্য ৪ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছিলেন। বাকি ১১ হাজার টাকা ও শিশু হাতবদলের জন্য দুই পরিবার কোর্ট ময়দানে জমায়েত হয়েছিল শুক্রবার। স্থানীয় মানুষজন তাঁদের দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই শিশুবিক্রির বিষয়টি সামনে আসে। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে শিশুর পরিবার মতবদল করে অগ্রিম ফেরত দেয়। এক দালাল এই কাজের জন্য শিশুর পরিবারের কাছ থেকে ৭০০ টাকা নিয়েছিল। তবে তার নাম ও পরিচয় কেউ বলতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ মুজাহিদ আলম বলেন, আমরা দেখি কয়েকজন জড়ো হয়েছেন কোর্ট ময়দানে। কথা বলে জানতে পারি শিশু কেনাবেচা হচ্ছে। আমরা হস্তক্ষেপ করতেই শিশুর মা মত পরিবর্তন করে টাকা ফেরত দেন। পুলিস এসে দু’পক্ষের লোকজনকে থানায় নিয়ে যায়। এলাকায় শিশু কেনাবেচার একটি চক্র সক্রিয় হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।
শিশুবিক্রি করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মা শাহনাজ বেগম। তাঁর কথায়, ক্রেতা ঠিক করে যে আমাকে বিক্রি করার পরামর্শ দিয়েছিল এবং ক্রেতা ঠিক করেছিল, সে ৭০০ টাকা নিয়েছে। কোর্ট ময়দানে লোকজন আসতে দেখে সে পালিয়ে যায়। আমার টিউমার অপারেশনের জন্য টাকার দরকার ছিল বলে স্বামী শিশু বিক্রি করতে রাজি হয়েছিল।
শিশুর বাবা সামিরুল আলমের কথায়, স্ত্রীর টিউমার অপারেশনের জন্য ১৫ হাজার টাকায় শিশুকে বিক্রি করতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু পরে আমাদের মন বদলে যায়।
যিনি শিশু কিনছিলেন বলে অভিযোগ, সেই নাসিয়া বেগম বলেন, ওই দম্পতি বিক্রি করতে চাইছিলেন বলে কিনতে চাইছিলাম। আইনি ব্যাপারে কিছু জানা নেই। ভেবেছিলাম পরে কোর্ট থেকে কাগজপত্র বানিয়ে নেওয়া যাবে।
ইসলামপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত এসপি ডেন্ডুপ শেরপা অবশ্য বলেন, শিশু কেনাবেচার বিষয় নেই। তাঁদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। শিশুকে তার মা নিয়ে গিয়েছেন।