সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
১৯৯৬ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত রায়গঞ্জ বিধানসভা আসন দখলে রেখেছিল কংগ্রেস। ২০১১ থেকে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে পরপর দু’বার মোহিত সেনগুপ্ত নির্বাচিত হন। ২০১৬ বিধানসভা ভোটে রাজ্যের অন্যান্য বেশকিছু আসনের পাশাপাশি রায়গঞ্জেও কংগ্রেসকে প্রথম সমর্থন করে বামফ্রন্ট। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা নিয়ে একাধিক বৈঠক হলেও শেষে ভেস্তে যায়। ২০২১ বিধানসভা ভোটে আবার রায়গঞ্জ বিধানসভা আসনে বামফ্রন্টের সমর্থন নিয়েই লড়াই করে কংগ্রেস। এবার সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটেও এখানে বামফ্রন্ট সমর্থন করেছিল কংগ্রেসকে।
সিপিএমের একাংশের বক্তব্য, শেষ দু’টি বিধানসভা এবং এবারের লোকসভা ভোটে দল প্রার্থী সিপিএম। গত আট বছর ধরে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীকেই সমর্থন করছে। জেলার এক যুব নেতার দাবি, এভাবে প্রত্যেকবার আমরা যদি কংগ্রেসকে সমর্থন করি, তাহলে তো মানুষের মন থেকে দলের কাস্তে-হাতুড়ি প্রতীকই মুছে যাবে। লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়াই করলাম। বিধানসভা উপ নির্বাচনে অন্তত সিপিএম নিজেদের প্রার্থী দিক। তাতে খুব একটা ক্ষতি হবে না। বরং দলের প্রচার হবে। মানুষ আমাদের প্রতীক আবার দেখতে পাবেন।
সিপিএমের নিচুতলার কর্মীরাও বছরের পর বছর অন্য দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে করতে বিরক্ত। তাঁদের যুক্তি, এভাবে চলতে থাকলে সিপিএমের কথা একসময় ভুলে যাবেন সমর্থকরা। নিজেদের প্রার্থী না থাকায় তাঁদের অনেকে অন্য দলকে ভোট দেবেন। এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য উত্তম পাল বলেন, গত বিধানসভা এবং লোকসভায় আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছি। সেটা এখনও ভাঙা হচ্ছে না। কেউ দলের প্রার্থী দেওয়ার দাবি করতেই পারেন। সেটা অবাস্তব নয়।