উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
আরএসএসের এই প্রকাশ্য মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অজিত পাওয়ারের দল। মুখপাত্র উন্মেষ পাতিল বলেছেন, আমাদের দল এই বার্তা সমর্থন করে না। মনে হয় না আরএসএস যা বলছে, সেটায় কোনও সত্যতা আছে। মহারাষ্ট্রের ফলপ্রকাশের পর এনডিএ সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। কেন এরকম ফলাফল হল, সেটা নিয়ে আলোচনার জন্য। সেই কমিটিতে আরএসএস সদস্যও আছেন। কিন্তু আলোচনায় কখনও বলা হয়নি যে, এনডিএ জোটের পরাজয়ের জন্য আমাদের দল দায়ী। সকলকেই দায় নিতে হবে এরকমই বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উন্মেষ পাতিল আরও বলেন, জোট থাকা নিয়ে এরকম বাতাসে খবর ভাসিয়ে দেওয়া উচিত না। বিজেপি অথবা আরএসএসের উচিত এখনই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া। নয়তো বিরোধীরা সুযোগ নেবে। কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক যে তিক্ত হয়েছে এটা বুঝতে পেরে অজিত পাওয়ার কোনও একটা পথ খুঁজছেন বলে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল মনে করছে। সঙ্ঘ শুধুই মহারাষ্ট্র সম্পর্কে নয়। সামগ্রিকভাবে বিজেপি নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছে যে, দুর্নীতির দাগ আছে, এরকম কোনও বিরোধী নেতাকে যেন দলে টেনে নেওয়া না হয়। বিজেপি এভাবে ক্রমেই আর পাঁচটা পার্টির মতোই হয়ে যাচ্ছে। কোনও পার্থক্য নেই। এদিকে মহারাষ্ট্রের এই গোটা টানাপোড়েন নিয়ে আদতে কাঠগড়ায় যে নরেন্দ্র মোদিই, সেই চর্চাই দলে চলছে। কারণ, অজিত পাওয়ারের সেচ সংক্রান্ত একঝাঁক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মোদি নিজেই মহারাষ্ট্রে গিয়ে বলেছিলেন যে, ৭০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিবাজকে জেলে পাঠাব আমরা। তার ঠিক পরেই অজিত পাওয়ারকে কাছে টেনে নেয় বিজেপি। এবং সব তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়। যা নিয়েই ক্ষুব্ধ সঙ্ঘ।