উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
প্রকল্পের নামবদল সহ একাধিক অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এলাকায় গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। তখন একপ্রকার বাধ্য হয়েই কেন্দ্রের চাপানো শর্ত মেনে নেয় রাজ্য সরকার। ‘বাংলার আবাস যোজনা’র বদলে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ (পিএমএওয়াই) ও প্রকল্পের নির্দিষ্ট লোগো লাগাতে রাজি হয় রাজ্য। শর্ত মেনে নিতে রাজি হওয়ায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ১১ লক্ষ বাড়ির অনুমোদন দেয় মোদি সরকার। কিন্তু তারপর এতদিনেও এই খাতে কোনও টাকা ছাড়েনি কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের সহযোগিতা ছাড়াই সম্পূর্ণ নিজেদের খরচে গরিব মানুষের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন লোকসভা নির্বাচন শেষ। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়িত করতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে।
প্রসঙ্গত, পিএমএওয়াই প্রকল্পের ৬০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র। বাকি ৪০ শতাংশ খরচ করতে হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে। এই প্রকল্পে রাজ্যকে যেহেতু ভালো পরিমাণ টাকা নিজস্ব কোষাগার থেকে খরচ করতে হয়, সেই যুক্তি দেখিয়ে আগেই প্রকল্পের নাম বদলের পথে হেঁটেছিল নবান্ন। নাম চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে স্থানীয় ভাবাবেগকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টিও কেন্দ্রকে জানায় বাংলার সরকার। একের পর এক জনসভায় এসব তথ্য তুলে ধরে প্রকল্পের নামবদলের পক্ষে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি জোরের সঙ্গে দাবি করেন, এই খাতে বাংলার প্রাপ্য টাকা না দিতেই কেন্দ্রের ঠিক করে দেওয়া নাম ব্যবহারের হুইপ জারি করেছিল মোদি সরকার।
এই অবস্থায় মমতা ঘোষণা করেন, আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির টাকা রাজ্যই দিয়ে দেবে। তিন বা চার কিস্তিতে বাড়ি তৈরির ১০০ শতাংশ টাকা ডিবিটি (ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার) করা হবে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। ওয়কিবহাল মহলের মতে, নরেন্দ্র মোদি ফের ক্ষমতায় ফিরলেও নাম নিয়ে কোনও জটিলতার জায়গা থাকছে না। কারণ, কেন্দ্র কোনও টাকা দেয়নি। আর যদি ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে, সেক্ষেত্রে মমতার বন্ধু সরকারই হবে কেন্দ্রে। সেই সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে তৃণমূলের। ফলে সেক্ষেত্রে মমতার দেওয়া নামে দিল্লির কোনও আপত্তি থাকবে না বলে ধরে নিচ্ছে প্রশাসনিক মহল। সরকারের এক পদস্থ কর্তা জানান, ‘ভোট শুরুর আগেই এ বিষয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। বাংলা আবাস যোজনা নামটি ফিরে আসছে বলে ধরে নিতে পারেন।’