উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
কেমন হবে সেই ধাক্কা? ভোটের আগে এবং পরে বারাণসী থেকে নাকি বিরোধীরা বার্তা পাচ্ছে, মোদির মার্জিন কমছে। ২০১৯ সালে মোদির জয়ের মার্জিন ছিল ৬ লক্ষ। সুতরাং সেই মার্জিন কত কমতে পারে? রাজনৈতিক মহলের অভিমত, বারাণসীতে মোদি হেরে যাবেন, এতটা আশা করা কংগ্রেস তথা বিরোধীদের অতি আত্মবিশ্বাস। তবে এই দাবির পিছনে যদি বার্তা থাকে যে, মোদির এবার জয়ের মার্জিন অনেকটা কমছে, তাহলে কিন্তু সেটা অবশ্যই মোদির ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মাকে ড্যামেজ করবে। কারণ, ২০২৪ সালের ভোটপর্বে এসে মোদি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি নিছক রাজনীতিবিদ নন। ঈশ্বর প্রেরিত দূত। সুতরাং সেই ঈশ্বরের দূতকে যদি নিজের দুর্গের ভোটারদের কাছে ধাক্কা খেতে হয়, সেটা হবে অত্যন্ত অস্বস্তিকর।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এক্সিট পোল নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়নের মধ্যেও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সংযমী এবং সতর্ক। রবিবারও এ ব্যাপারে অতি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে কাউকে দেখা যায়নি। কেন? কারণ বিজেপি সূত্রের খবর, এক্সিট পোল যাই বলুক, মহারাষ্ট্র, বিহার, বাংলা, কর্ণাটক নিয়ে এখনও যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় শীর্ষ নেতৃত্ব। উত্তর ও মধ্য ভারতে বিজেপি যত সংখ্যক আসন হারাবে, তার ক্ষতিপূরণ কি দক্ষিণ ও পূর্ব ভারত করতে পারবে? সবচেয়ে বড় কথা, উদ্বেগে রেখেছে উত্তরপ্রদেশ। রবিবার সমাজবাদী পার্টির নেতা কিরণময় নন্দ বলেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশে আমরা ২০ থেকে ২৫ আসনে অনেক এগিয়ে থাকছি। বাকিগুলির মধ্যেও সমান টক্কর আছে। বহুজন সমাজ পার্টি প্রাপ্ত ভোট শতাংশ এবার নগণ্য। সরাসরি যুদ্ধ হয়েছে বিজেপি বনাম ইন্ডিয়ার।’ বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ধনঞ্জয় শুক্লা অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘আমাদের টার্গেট ছিল ৭০ পেরনোর। সেটা হবে।’
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিরোধীদের এই আশা কেন? কারণ মুসলিম, যাদব, দলিতের কম্বিনেশন। দলিত ভোট তো মায়াবতী থেকে সরে চলে গিয়েছে বিজেপির দিকে! তাহলে সেই ভোট কেন আসবে ইন্ডিয়ায়? বিরোধীদের দাবি, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সংবিধান বদলে দেবে বলে যে প্রচার ইন্ডিয়া করেছে, সেটা দলিত সমাজের কাছে বিশেষ বার্তাবহ। তাদের কাছে সংবিধান একটি বই নয়। বাবাসাহেবের সম্মান। সংবিধান বদলানোর অর্থ বাবাসাহেবকে অপমান।