নয়াদিল্লি: বিরোধীরা ‘আর কয়েকদিনের প্রধানমন্ত্রী’ বলে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। এরপরেও নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন স্ব-মেজাজে। রবিবার তিনি একগুচ্ছ প্রশাসনিক বৈঠক সারেন। ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরে নতুন সরকারের প্রথম ১০০ দিনে অগ্রাধিকার কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে খবর। সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। বিভিন্ন হাসপাতালে আগুন লাগার খবর সামনে এসেছে। তাতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সমস্ত হাসপাতাল এবং পাবলিক প্লেগুলিতে ফায়ার ড্রিল সারার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সচল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মিজোরাম, মণিপুর, অসম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরাকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শীর্ষস্থানীয় আমলারা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধারে সহায়তা করেছে। আটকে পড়া নাগরিকদের বিমানে করে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চলছে রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। তা কীভাবে উদ্যাপন করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। - ফাইল চিত্র