উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
সিভিল লাইনস-রাজঘাট-কনট প্লেস-দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ-তিহার জেল—পুরো রুটেই এদিন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি পুলিস। মোতায়েন ছিল আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান, র্যাফ। তিহার যাত্রার আগে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড়ের বাঁধ ভাঙল আপের সদর কার্যালয়ে। ভাষণে অবশ্য কেজরিওয়াল বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কাছে এই জেলযাত্রা আদতে একটি ‘স্বাধীনতা’র যুদ্ধ। দেশ বাঁচানোর লড়াই। তাই দলীয় পতাকা নয়। দলের কার্যালয়ে উপস্থিত সমস্ত নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের হাতে এদিন তেরঙ্গা তুলে দিয়েছে আপ। বাজানো হয়েছে জাতীয় সঙ্গীত। কেজরিওয়াল নিজেই জানিয়েছেন, ‘পার্টির থেকেও আমার কাছে দেশ বড়। কোনও দুর্নীতির জন্য আমি জেলে যাচ্ছি না। দেশের সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা, অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অপরাধে জেলে যাচ্ছি।’
আপ সুপ্রিমোর মুখে ‘আলবিদা’ শুনেই আবেগে ভেসেছেন দলের নেতাকর্মীরা। তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন অনেকে। এদিন মোদি সরকারকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েই কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘জানি না, জেলে এরা আমার সঙ্গে কী করবে। যা খুশি করুক। আমি পরোয়া করি না। দেশ স্বাধীন করার জন্য ভগৎ সিংকে জেলে যেতে হয়েছিল। ফাঁসিকাঠে উঠতে হয়েছিল। আমি দেশ বাঁচানোর জন্য জেলে যাচ্ছি। প্রয়োজনে ফাঁসির মঞ্চে যেতেও প্রস্তুত। ছাড়া পাওয়া মাত্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।’ মুহুর্মুহু উঠেছে হাততালির ঝড়। শনিবারের বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলকে উড়িয়ে দিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, ‘ওরা মাইন্ড গেম খেলতে চাইছে। আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। হতাশ হবেন না। ৪ জুন কেন্দ্রে বিজেপির সরকার হবে না। গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এজেন্টদের কেন্দ্রে বসে থাকাটা নিশ্চিত করুন।’ এদিন অবশ্য রাজঘাটে বিক্ষোভ দেখিয়েছে দিল্লি বিজেপি। সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা সহ নেতাকর্মীদের আটক করেছে দিল্লি পুলিস।