সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভোটের আগে তিনি ছিলেন বিশ্বগুরু। ভোটপর্বের মাঝপথে নরেন্দ্র মোদি মার্কেট গুরুর ভূমিকায় অবতীর্ণ। মার্কেট গুরু হিসেবে তাঁদেরই সম্বোধন করা হয়, যাঁরা শেয়ারবাজারের ওঠানামা কিংবা সম্ভাব্য লাভ লোকসানের পূর্বাভাস দিয়ে থাকেন। ২০২৪ সালের ভোটে দেখা যাচ্ছে মোদি প্রতিনিয়ত তাঁর প্রচারের গোলপোস্ট বদলে ফেলছেন। শুরু হয়েছিল বিকশিত ভারতের গ্যারান্টি দিয়ে। প্রথম দুই দফার নির্বাচন পর্বের পরই ভোটের হাওয়ায় তিনি নাকি বিপদ সংকেত পেয়েছেন। এরকমই দাবি বিরেধীদের। দেখা যায়, ১৯ এপ্রিলের পরবর্তী নির্বাচনী জনসভায় মোদি ঘুরে ফিরে হিন্দু মুসলিম ইস্যুকে অধিক প্রাধান্য দিচ্ছেন। কখনও বলছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে হিন্দু নারীর মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেবে। আবার কখনও বলছেন, যাদের দুটো মহিষ আছে, তাদের একটি মহিষ কেড়ে নেওয়া হবে। হিন্দুদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদ বিলিয়ে দেওয়া হবে মুসলিমদের। এরপর আবার তিনি বিগত তিনদিন ধরে বললেন, আমি যদি নির্বাচনী প্রচারে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি, তাহলে আমার রাজনীতিতে থাকার অধিকারই নেই। এতকাল দেখা গিয়েছে মোদি তাঁর ভাষণ কিংবা প্রতিশ্রুতিতে যা যা বলে থাকেন, রাহুল গান্ধীরা সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁকে আক্রমণ করেন। আর এবার দেখা যাচ্ছে রাহুল গান্ধী যা যা বলছেন কিংবা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ইস্তাহারে, মোদি সেগুলিকেই টেনে আনছেন নিজের ভাষণে। অর্থাৎ এত বছর ধরে মোদি ন্যারেটিভ তৈরি করতেন। বিরোধীরা অনুসরণ করতেন সেই বিবরণের বিরোধ করে। এই নির্বাচনে বিপরীত চিত্র। মোদি পা দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত রাহুল গান্ধী অথবা বিরোধী নেতানেত্রীদের ন্যারেটিভের ফাঁদে। তাঁর নিজের কথা হারিয়ে যাচ্ছে। যা বিজেপিকেও অস্বস্তিতে ফেলছে। এহেন পরিস্থিতির মধ্যে পঞ্চম দফার ভোটপর্ব সমাপ্ত হয়ে গেল। আর তখন মোদি নিয়ে এলেন এক নতুন প্রচার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি সোমবার বলেছেন, আগামী ৪ জুন শেয়ারবাজার সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে সর্বোচ্চ স্তর স্পর্শ করবে। তিনি বলেছেন, স্টক মার্কেট প্রোগ্রামাররা ক্লান্ত হয়ে যাবে হিসেব করতে করতে। স্বাভাবিকভাবেই এই কথা কোনও নামজাদা পরিচিত মার্কেট গুরু বললে, লগ্নিকারীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বিপুল লগ্নি করবে শেয়ার কিনে। মোদি তাঁদেরই প্রলোভিত করলেন। সঙ্গে বার্তা দিলেন যে তাঁর সরকার গঠিত হলে মার্কেট এরকমই উচ্চতম শিখরে অবস্থান করে। অর্থাৎ আমাদের ভোট দাও। গরিব কল্যাণ যোজনা, কৃষকদের ৬ হাজার টাকা, আবাস যোজনার জনক হিসেবে নিজেকে প্রচার করা মোদি বলেছেন, যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখন সেনসেক্স ছিল ২৫ হাজার পয়েন্টে। আর আজ ৭৩ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। তাঁর ঘোষণা, অপেক্ষা করুন। ৪ জুন মার্কেট হবে সর্বকালীন সর্বোচ্চ! শেয়ার মার্কেট অনিশ্চয়তার এক সেক্টর। সেখানেও মোদির গ্যারান্টি?
