গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী কামারপুকুরের একটি সভায় মুর্শিদাবাদের একটি আশ্রমের ‘সাধু’র বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁকে ‘হিন্দু বিরোধী’ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। বলছেন, ‘এখানকার মুখ্যমন্ত্রী মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে ভোট পাওয়ার জন্য আমাদের সন্তদের, মহান সংগঠনগুলিকে গালি দিচ্ছেন। বদনাম করছেন।’ ‘মেরুকরণ’ ও মানুষকে ‘বিভ্রান্ত করার’ এই চেষ্টার বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন মমতা। এব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য দলীয় নেতৃত্বকে সোমবারই ওন্দায় পাল্টা সভা করার নির্দেশ দেন তিনি। তার জন্য তাঁর সফরসূচির কিছু পরিবর্তনও করেন। আর ওন্দার মঞ্চ থেকে কড়া মেজাজে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ওরা স্বামী বিবেকানন্দকে দেখতে আসে। সব লোক দেখানো। স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল। আমি কর্পোরেশনকে বলে এক রাতের মধ্যে স্বামীজির বাড়ি বিক্রি ঠেকিয়েছিলাম। সিস্টার নিবেদিতার বাড়িও কিনে দিয়েছিলাম। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে স্কাইওয়াক, বেলুড়মঠে এত জেটি কে করে দিয়েছে? যখন যা বলেছি, তাই করেছি। রামকৃষ্ণ মিশন প্রণম্য। আমি এমন প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা করবই বা কেন? গঙ্গাসাগরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের আশ্রম আছে। ওরা সত্যি আমাকে খুব ভালোবাসে। মানুষের কাজ করে। আমি শুধু একজনের নাম করে বলেছিলাম। নির্দিষ্ট ব্যক্তির রাজনীতি নিয়ে, প্রতিষ্ঠান নয়। তিনি ভোটের দিন তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেননি। মুর্শিদাবাদে ভোটের দু’দিন আগে দাঙ্গার হোতা ছিলেন তিনি। আমি সেই জন্য বলেছিলাম। একথা আগামী দিনেও বলে যাব। উনি আশ্রম চালান, আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু উনি তো ধর্মের নামে বিজেপি করে বেড়াচ্ছেন।’ তারপরই তিনি বলেন, ‘আপনি বিজেপির প্রতীকটা বুকে লাগিয়ে এসব করুন। লুকিয়ে লুকিয়ে কেন? আমি প্রমাণ ছাড়া বলি না। ভোটের দু’দিন আগে দাঙ্গা করিয়ে দেবে, আর আমি ছেড়ে দেব?’