সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
রবিবার নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা পর সভাস্থলে আসেন মোদি। আর এসেই দাবি করেন, তিনি যেন ভোটটা জিতেই গিয়েছেন। বলেন, ‘দিল্লির এসি ঘরে বসে হিসেব কষার দরকার নেই। ৪ জুন কী হচ্ছে এই জনসভা থেকে স্পষ্ট।’ তাঁর কথায়, ‘ইন্ডি জোট সংবিধান শেষ করতে চাইছে। অনুপ্রবেশকে উৎসাহ দিয়ে সিএএ’র বিরোধিতা করছে।’ এরপরই শুরু করেন তৃণমূলকে আক্রমণ। বলেন, ‘টিএমসি এখন মা-মাটি-মানুষকে ভক্ষণ করছে। সন্দেশখালির মেয়েদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।’ মোদির তোপ, ‘শিক্ষা দুর্নীতির জন্য চাকরি পাওয়ার টাকা জোগাড় করতে যুবসমাজ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। গ্রামের স্কুলের শিক্ষক নেই, ভবিষ্যৎ চুরি হয়েছে। তৃণমূল ও কংগ্রেস এক্ষেত্রে একই থালার অংশ। ৪ জুনের পর নতুন সরকার গঠন হলে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ আরও তীব্র হবে। ওঁদের জীবন কাটাতে হবে জেলে।’
তবে মোদি এদিন বারবার প্রমাণ করতে চেয়েছেন, বৈষম্য তিনি করেননি। বলেছেন, ‘টয়লেট বা গ্যাসের সংযোগ সবাই পেয়েছে। বৈষম্য করিনি। মোদি সবাইকে রেশন দিয়েছে। ব্যাঙ্কের খাতা খুলতে মোদি কোনও বৈষম্য করেছে?’ অথচ, সম্প্রতি উজ্জ্বলা যোজনার সংযোগ দেওয়ার জন্য দেশজুড়ে ‘অভিযান’ চালিয়েছিল কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে কিন্তু বাংলা সুযোগ পায়নি। রেশন দিয়েছেন, কিন্তু রাজ্যকে সাফ বলা হয়েছে, দোকানে ও ব্যাগে মোদির ছবি ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ, রাজ্য সরকারের অংশ বেমালুম চেপে দেওয়ার উদ্যোগ। আর জনধন অ্যাকাউন্ট? মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের জ্বালায় যে আম জনতা ভুগছে, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা আছে তো? এই প্রশ্ন কিন্তু করছে বিরোধীরা।