কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
ভারতে বহু ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। তাদের যেমন রোজগারে সামঞ্জস্য নেই, তেমনই খাওয়াদাওয়ার প্রকৃতিও আলাদা আলাদা। সেসব বিষয় মাথায় রেখেই ভারতবাসীর গড়পড়তা খাইখরচের হিসেব কষেছে ক্রিসিল। হাটবাজার করার পর বাড়ির হেঁশেলে রান্না হওয়া যে খাবার নিত্যদিন পাতে পরিবেশন করা হয়, তারই গড় খরচের আঁচ পেতে চেয়েছে ক্রিসিল। সেখানেই তারা হিসেব কষে দেখেছে, একজন নিরামিষাশীর এক থালা খাবারের জন্য গত এপ্রিলে খরচ হয়েছে ২৭ টাকা ৪০ পয়সা। তার আগের মাসে সেই খরচের পরিমাণ ছিল ২৭ টাকা ৩০ পয়সা। ২০২৩ সালের এপ্রিলে এক প্লেট নিরামিষ খাবারের দাম ছিল ২৫ টাকা ৪০ পয়সা। একবছরে খরচ বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ।
আসা যাক আমিষ থালির কথায়। এপ্রিলে এক প্লেট আমিষ খাবারের জন্য খরচ হয় ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা। একমাস আগে, অর্থাৎ মার্চে তা ছিল ৫৪ টাকা ৯০ পয়সা। যদিও গতবছর এপ্রিলে আমিষ খরচ ৪ শতাংশ কম ছিল বলে জানিয়েছে ক্রিসিল।
প্রসঙ্গত, নিরামিষ থালির মেনু হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে রুটি, ভাত, আলু, টোম্যাটো ও পেঁয়াজের তরকারি, ডাল, দই ও স্যালাড। নিরামিষ থালির ক্ষেত্রে ওই একই মেনুতে ডালের বদলে ব্রয়লার চিকেন যোগ করা হয়েছে।
এতটা কেন বাড়ল রান্না করা খাবারের দাম? ক্রিসিলের দাবি, একবছরে পেঁয়াজ, টোম্যাটো ও আলুর দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৪১, ৪০ এবং ৩৮ শতাংশ। রবি ফসল হিসেবে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়া এবং বাংলায় আলুচাষ মার খাওয়া এর অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরেছে ক্রিসিল। তাদের দাবি, ১৪ ও ২০ শতাংশ দাম বেড়েছে চাল এবং ডালেরও।