কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণণ গঠিত বেঞ্চ বুধবার ভিডিও কনফারেন্সিং মারফত মামলাটির শুনানি করেছে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই ‘চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিটিউশন’ সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করেছে। আগের মতো এখনও ওই শিশুদের প্রতিষ্ঠানগুলিতে রেখে দেওয়া উচিত বা দরকার কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য হাইকোর্টগুলিকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছিল। তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিতে অভিভাবকদের কাউন্সেলিং, অর্থাৎ তাঁদের অভিমত নিতেও বলা হয়। সেইসঙ্গে হোমগুলিতে স্বাস্থ্যসম্মত বিধিব্যবস্থা আছে কি না, তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়। সব জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড এবং চিল্ড্রেন কোর্টকে বলা হয়েছিল, বিশেষ আইনি বাধা না থাকলে সাময়িক জামিনে সব শিশুদেরই ছাড়া যায় কি না, তাও যেন বিবেচনা করা হয়।
রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এদিনের শুনানিতে রিপোর্ট দাখিল করে জানান, সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বেঞ্চ এই কঠিন সময়ে ওইসব শিশুদের মন থেকে উদ্বেগ দূর করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে বলেছে। সুপারের নির্দেশ ছাড়া কেউ যেন ওইসব প্রতিষ্ঠানে না ঢোকেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে জুডিশিয়াল জাস্টিস বোর্ড এবং চাইল্ড রাইট আদালতগুলি যেন চালু থাকে, তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে জেলা বিচারকদের। এই মর্মে তাঁদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। প্রতিটি সাব-ডিভিশনের সবচেয়ে বর্ষীয়ান অতিরিক্ত জেলা বিচারকদের প্রতিষ্ঠানগুলি ঘুরে দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বেঞ্চ আরও বলেছে, সব দিক খতিয়ে দেখে কোন শিশুদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তা বিবেচনা করতে হবে। স্বাস্থ্য দপ্তর যেন প্রতিষ্ঠানগুলি নিয়মিত ব্যবধানে পরিদর্শন করে দেখে, সেখানকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঠিকভাবে চলছে কি না। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আইসোলেশন রুম যেন থাকে। কোনও শিশু কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হল কি না, সেদিকে জোরদার নজর রাখতে হবে। সন্দেহ হলে দ্রুত বিধিসম্মত ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দিকেও নজরদারি রাখতে হবে। নতুন কোনও আবাসিক এলে আইসোলেশনে তাকে নির্দিষ্ট সময়কাল আলাদা রাখার পর যেন অন্যদের কাছে যেতে দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য দপ্তরের নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে এদিন দেওয়া নির্দেশাবলির পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।