কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
তিনি নাম না-করে বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল মানুষের কাছে ত্রাণ দিতে গিয়ে উল্টোপাল্টা বোঝাচ্ছে। সরকারি খাদ্যদ্রব্য রেশন দোকান থেকেই পাবেন। যদি সত্যিই কেউ গরিব থাকেন, তাহলে তাঁদের বিষয়টা ডিএম, এসডিও, বিডিওরা দেখে নেবেন। যদি সাহায্য করতে হয়, তাহলে নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে দিন। রেশন দোকান নিয়ে এসব করবেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব কৃষিপণ্য আসবে সেগুলোকে যেন ছাড় দেওয়া হয়। পুলিস-প্রশাসনকে তা দেখতে বলেছি। তবে ফুল বিক্রেতাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। আমরা ঠিক করেছি, ফুল চাষিদের জন্য বাজারগুলো বৃহস্পতিবার থেকে খুলে দেওয়া হবে। যাঁরা স্থানীয়ভাবে ফুল বিক্রি করেন, তাঁরা কাল থেকে তা করতে পারবেন। এছাড়াও বাজারে পান বিক্রিতেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। অসংগঠিত শ্রমিকদের মধ্যে যাঁরা বিড়ি বাঁধেন, তাঁরা ঘরে বসেই কাজ করতে পারবেন। তবে এক জায়গায় অবশ্য সাতজনের বেশি থাকবেন না, যদি বেশি হয় তাহলে পুলিস ব্যবস্থা নেবে। কাল থেকে কৃষি বাজার খোলা থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের যেন নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তার জন্য মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা কথা বলবেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবার সঙ্গে। তবে লকডাউন উঠে গেলে পরিযায়ী শ্রমিক বা ভিন রাজ্য ও বিদেশ থেকে কেউ এলে তাঁদের ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ রাখা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দেন। এদিন কোয়ারেন্টাইনের নতুন নামকরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, নিজের বাড়ি। তিনি আবেদন করেন, সকলে একটু সতর্ক থাকুন, দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। কেউ বাইরে থেকে এলে সেফ হাউসে থাকুন। এটা ঘোলা জলে মাছ ধরার সময় নয়, রাজনীতি করার সময় নয়। আমেরিকার ওষুধ চাওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। তবে আমরা আমাদের কাছে এই ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত করেছি। সামনে শবেবরাত উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, উৎসব আসবে উৎসবের মতো। তাই সবাইকে অনুরোধ করছি, এই রকম পরিস্থিতিতে সবাই ঘরে বসেই উৎসব পালন করুন। সামনে পয়লা বৈশাখও আছে, কেউ কোথাও ভিড় করবেন না। নতুন অসুখ, সকলকে একযোগে লড়াই করতে হবে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিজিৎবাবু বলেন, এই সময়টা গোটা পৃথিবীর জন্য সত্যি খুব খারাপ সময়। আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে একটা অনুরোধ, যে বাজারগুলো খুলছেন, সেখানে সবাই যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাত স্যানিটাইজ করা হয়, সেটা যদি দেখেন, তাহলে খুব ভালো হয়। আপনি লক্ষ্মণরেখা এঁকে দিয়েছিলেন, অনেক সময় তার ওপারে মানুষ চলে যায়। সেখানে যদি ইট রেখে দেওয়া যায়, তাহলে বোধহয় ভালো হয়। আশাদিদিদের এই পরিস্থিতিতে কাজে লাগানো যেতে পারে। তাঁরা এলাকায় ঘোরার সময় যদি দেখতে পান, অনেক লোকের একসঙ্গে কাশি হচ্ছে, তাহলে তাঁরা নির্দিষ্ট জায়গায় খবর দেবেন। তাহলে সরকার টেস্ট করাতে পারবে।
মুখ্যমন্ত্রী এই প্রস্তাবের জবাবে বলেন, আমরা চেষ্টা করব প্রত্যেকটা বাজারের সামনে একটা ব্যবস্থা করা, যেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা যাবে। বাজার কমিটিগুলোকে বলব এটার ব্যবস্থা করতে। আমরা একটা মোবাইল অ্যাপ করছি ফিভার সার্ভের জন্য। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে বলেন, স্যানিটাইজার না পাওয়া গেলেও অন্তত সাবান দিয়ে যেন হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আপনি সাবধানে থাকবেন, আপনি তো ঘোরাঘুরি করছেন। প্রত্যুত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনিও ভালো থাকবেন। আপনার যখনই মনে হবে, আপনার মতামত আমাদের জানাবেন।