বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
সিএএ ইস্যুতে বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাব গ্রহণের বিষয়ে তাদের দাবি এদিন খারিজ হওয়ায় বাম-কংগ্রেস শিবির বেজায় ক্ষুব্ধ। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সদনের ভিতরেই তাদের একপ্রস্থ কথা কাটাকাটি হয়। এসসি-এসটি সংরক্ষণ নিয়ে সংবিধান সংশোধনীতে সিলমোহর দেওয়ার জন্য আনা প্রস্তাবের উপর মমতা ভাষণ দিতে গেলে বিরোধী বিধায়করা প্রবল হট্টগোল করেন। পাল্টা হইচই জুড়ে দেন শাসকদলের প্রতিনিধিরাও। এই ডামাডোলের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী রেগে গিয়ে সোনিয়ার বৈঠকে না যাওয়ার কথা জানিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, দ্রুত সেই খবর কংগ্রেস হাইকমান্ডের কানে পৌঁছায়। তারপর থেকে তারাও এব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের কাছে এআইসিসি থেকে ফোন করে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়।
তবে তৃণমূল নেত্রীর এই পদক্ষেপ তাদের কাছে একটা বড় রাজনৈতিক হাতিয়ার বলে মনে করছে বাংলার বাম-কংগ্রেসের জোট শিবির। তাই তারাও পাল্টা তোপ দেগে মোদি-মমতা গোপন আঁতাতের তত্ত্বকে আরও বেশি করে সামনে এনেছে। এদিন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী এবং মান্নান এক সুরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে আমরা সর্বদলীয় প্রস্তাব গ্রহণ করতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বা শাসক শিবির তা মানতে চায়নি।
সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও এক সুরে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন মোদি-শাহরা। ওঁর বিজেপি বিরোধিতা যে সত্যিই লোকদেখানো, তা নিজেই এদিন প্রমাণ করে দিলেন।