কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
আদালত সূত্রের খবর, বেলেঘাটা মেন রোডের বাসিন্দা এক গৃহবধূ ২৫ বছর আগে তাঁর স্বামী সহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেছিলেন শিয়ালদহ আদালতে। বধূ নির্যাতনের অভিযোগ ছিল তাঁর। তিনি বলেছিলেন, বিয়েতে দাবি মতো পণ দেওয়া সত্ত্বেও পরবর্তীকালে পণের জন্য দাবি করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তা না পাওয়ায় তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। মামলা দায়ের হওয়ার পর ওই মহিলা বিয়েতে দেওয়া জিনিসপত্র ফেরত পেতে কোর্টের কাছে আবেদন করেন। তার ভিত্তিতে আদালত তল্লাশির নির্দেশ দেয়। পরে চার্জ গঠন করে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। চলে সাক্ষ্যগ্রহণ। কিন্তু পরবর্তীকালে নানা আইনি গেরোয় মামলাটি বিলম্বিত হয়। গড়িয়ে যায় বছরের পর বছর। এনিয়ে নানা সময় আদালতও উষ্মা প্রকাশ করে। কিন্তু কেন মামলার শুনানি শেষ হতে এত সময় লাগল, তা নিয়ে বিচারকের মন্তব্য, বিভিন্ন সময় মামলাটি উঠলেও ঠিক মতো শুনানি হয়নি। এমনকী অনেকবার ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী কোর্টে এলেও ফিরে গিয়েছেন। এই অবস্থায় বিচারক জানতে চান, এই মামলায় তাঁদের বক্তব্য কী? ওই মহিলা বলেন, বছরের পর বছর ধরে কোর্টে এসে তিনি ক্লান্ত। সেই সময় ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এই মামলা দায়ের হয়েছিল। আমি এই মামলা থেকে অব্যাহতি চাই। মহিলার স্বামীও বলেন, বয়সের ভারে আর শরীর দেয় না। তাই আমাকে মামলা থেকে ‘মুক্তি’ দেওয়া হোক। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক ওই মহিলার উদ্দেশে বলেন, মামলা আর চালাতে চান না, তা দু’জনেই মেনে নিচ্ছেন তো? মহিলা তাতে সম্মতি দেন। তারই ভিত্তিতে বিচারক ২৫ বছরের পুরনো এই ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করে দেন। মামলা থেকে অব্যাহতি দেন গৃহবধূর স্বামী সহ তিনজনকেই। শহরের দুই প্রবীণ আইনজীবী জগদীশচন্দ্র মজুমদার ও নবকুমার ঘোষ বলেন, এ ক্ষেত্রে আদালত যে ভূমিকা নিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। না হলে হয়তো দেখা যেত, ওই মামলা শেষ হতে আরও কয়েক দশক গড়িয়ে যেত।