পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
সংস্থা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সারদা মামলার একেবারে গোড়ার দিক অর্থাৎ বিধাননগরের পুলিস কমিশনার তথা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের (সিট) প্রধান হিসেবে রাজীব কুমারের ভূমিকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু করবে তারা। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সারদা মামলার তদন্তে এতদিন তারা শুধুমাত্র কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যবসায়ীকে জেরা করেছে। কিন্তু রাজীব কুমারের মতো একজন দুঁদে অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কাজ এই প্রথম। তাই আটঘাট বেঁধে প্রশ্নাবলি তৈরি করেছেন আধিকারিকরা। তারই সঙ্গে সারদা মামলায় প্রথমদিকের এক তদন্তকারী অফিসার, এখন অবসরপ্রাপ্ত ফণিভূষণ করণকেও দলে ঠাঁই দিয়েছে সিবিআই।
এদিকে, আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া ‘স্নায়ুযুদ্ধ’-এর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে রয়েছেন পোড়খাওয়া আইপিএস অফিসার রাজীব কুমারও। শুক্রবার দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার কলকাতা-শিলং সরাসরি উড়ানে বেলা পৌনে চারটে নাগাদ মেঘালয়ের রাজধানীতে পৌঁছন রাজীব। তাঁর সঙ্গে এসেছেন কলকাতা পুলিসের প্রথমসারির তিন কর্তা জাভেদ শামিম, মুরলীধর শর্মা এবং অপরাজিতা রাই। আইনি সহায়তার জন্য সঙ্গে ছিলেন একজন অ্যাডভোকেট। বিমানবন্দর তো বটেই, উড়ানেও কলকাতার পুলিস কমিশনারের ‘শরীরী ভাষা’ ছিল সপ্রতিভ, প্রত্যয়ী। বিমানের প্রথমসারিতে বসেছিলেন রাজীব। পাশের আসনে বসেছিলেন মুরলীধর শর্মা। কিছুক্ষণ পরে সেখানে এসে বসেন জাভেদ শামিম। বেশ কিছুক্ষণ তাঁর সঙ্গে নানা আলোচনা সেরে নেন রাজীব। এই মামলার তদন্তের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে ১০ জন আধিকারিককে বাছাই করে পাঠিয়েছে সিবিআই, তাঁদের মধ্যে তিনজন ওই বিমানেই রাজীব এবং তাঁর সঙ্গীদের সহযাত্রী ছিলেন। ঘনিষ্ঠ মহলে রাজীব জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে তিনি যে প্রস্তুত হয়ে রয়েছেন, তা বোঝাতেই একদিন আগে শিলং পৌঁছেছেন। কালই বোঝা যাবে, কে ভালো ইনভেস্টিগেটর। তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকদের কাছ থেকে রাজীব জানতে চাইবেন, তাঁর বিরুদ্ধে কী কী লিগ্যাল ডকুমেন্ট আছে? তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে, সে সব তথ্যের আইনগত দিকই বা কতটা রয়েছে?
কলকাতার পুলিস কমিশনার ‘ওয়াই ক্যাটিগরি’র নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই মেঘালয় সরকার বিমানবন্দর থেকেই রাজীবকে সেই সুরক্ষা প্রদান করার সঙ্গেই পাইলট কারের ব্যবস্থাও করে। শহরের কেন্দ্রস্থলে ‘ত্রিপুরা ক্যাসেল’ হোটেলে উঠেছেন সপার্ষদ রাজীব। স্নায়ুযুদ্ধের ‘এপিসেন্টার’ সিবিআই দপ্তর থেকে যা পাঁচ কিলোমিটার দূরে।