কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
গত শনি ও রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। সোমবার কর্মী-অফিসাররা কাজে এসে দেখেন ভল্ট, আলমারির দরজা হাঁ করে খোলা। ভিতরে থাকা টাকা, নথিপত্র সব উধাও। পুলিস এলেও তারা তদন্ত করতে গিয়ে ধন্দে পড়েছে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে, নাকি রবিবার তা বুঝে উঠতে পারছেন না পুলিস অফিসাররা। কারণ দুষ্কৃতীরা হাতেগরম কোনও প্রমাণ রেখে যায়নি। ব্যাঙ্কে যেসব সিসি ক্যামেরা রয়েছে, তা সবই খুলে নিয়ে গিয়েছে তারা। ফলে তারা কবে এবং ক’জন এসেছিল তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। তাছাড়া ব্যাঙ্কে ঢোকার মুখে রাস্তার দু’দিকে পুলিস যে দু’টি সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছিল, সেগুলি অকেজো। ফলে কোনও ফুটেজই পাওয়া যায়নি। স্বভাবতই পুলিস তদন্ত করতে নেমে এখন কার্যত অন্ধকারে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল পৌঁনে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি নজরে আসে এক ব্যাঙ্ককর্মীর। তিনি দেখেন, আলমারি ও ভল্ট খোলা, ব্যাঙ্কের পিছনের শাটার তোলা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবর দেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে। তিনি তৎক্ষণাৎ মহেশতলা থানার আইসিকে বিষয়টি জানান। পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। এরপর পর্যায়ক্রমে আসেন ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার সুপার রাহুল গোস্বামী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। দুপুরে ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ আকাশ মাঘারিয়া এবং সিআইডির একটি টিম ব্যাঙ্কে আসে। তাঁরা তদন্তের পাশাপাশি ম্যানেজার ও অন্যান্য ব্যাঙ্ককর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। লকার, ভল্ট এবং স্টোরের চাবি কার কাছে থাকে, সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এদিকে, ব্যাঙ্কে চুরির খবর শুনে কয়েকশো গ্রাহক একরাশ উৎকণ্ঠা নিয়ে ভিড় জমান ব্যাঙ্কের বাইরে। কত টাকা চুরি হয়েছে, তাঁদের টাকা সুরক্ষিত আছে কি না, এমনই হাজারো প্রশ্ন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। গ্রাহকদের সকলের চোখেমুখে ছিল আতঙ্ক। সামনে থানা থাকলেও কীভাবে দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কে ঢুকে টাকা লোপাট করে উধাও হয়ে গিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এদিন সমস্ত পরিষেবাই বন্ধ রাখা হয়েছিল। গ্রাহকদের প্রশ্নের মুখে পুলিস জানিয়েছে, আজ, মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক খুলতে পারে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের সন্দেহ, এই চুরির ঘটনায় কোনও ব্যাঙ্ককর্মীর যোগসাজস থাকতে পারে। না হলে দুষ্কৃতীরা শাটার, আলমারি ও ভল্ট খোলার চাবি পেল কীভাবে?