সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
হুগলির চণ্ডীতলা এলাকার বাসিন্দা, সাবিনা ইয়াসমিন (নাম পরিবর্তিত) হাজরা ল কলেজের ছাত্রী। পড়াশোনার জন্য তিনি তাঁর বোনের সঙ্গে পার্ক সার্কাস এলাকায় একটি মেস ভাড়া নিয়ে থাকেন। ভোটের সময় তিনি বাড়ি গেলে তাঁর উপর এসব অত্যাচারের ঘটনা ঘটে। মামলার বয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে যাওয়ার পর তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় তুতো দাদারা। তাঁকে বলা হয় ‘আর পড়াশোনার দরকার নেই। আমাদের এই এলাকায় মেয়েরা এত পড়াশোনা করে না। বিয়ে করতে হবে। কলেজে যাওয়ার চেষ্টা করলে ভাল হবে না।’ এই হুমকির পরও ভেঙে পড়েননি তরুণী। তিনি তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন। এরপর গত ১৬ মে স্থানীয় বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই কার্যত গোটা পরিবার নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় তুতো ভাইয়েরা। বাজারের মধ্যেই চলে বেধড়ক মারধর। এমনকী, ছুরি দিয়ে তরুণীর দুই হাতে কোপানো হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
অভিযোগ, এই ঘটনার পরের দিন ওই তরুণী চণ্ডীতলা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়। পরের দিন অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করে তিনি ব্যর্থ হন। এদিকে তুতো ভাইয়েরা এসে এবার অ্যাসিড দিয়ে তাঁকে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। কোনও উপায় না পেয়ে তিনি ই-মেইল মারফত থানা ও জেলা পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরও এফআইআর রুজু করেনি পুলিস। শেষ পর্যন্ত তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পর, ১৩ জুন এফআইআর দায়ের করে পুলিস।
এই বৃত্তান্ত শুনে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কেন এফআইআর দায়ের করতে এত দেরি হল, তা নিয়ে পুলিস সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। চন্দননগরের ডিসিপি অলকানন্দা ভাওয়ালকে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। সেই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত সহ অন্য কেউ যাতে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে ওই পুলিস আধিকারিককে।