উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
কামারহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ছে দক্ষিণেশ্বরের মে দিবস কলোনী। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে এলাকার একটি পুরনো বাড়ি সারিয়ে থাকতে শুরু করেছে অপূর্বদের পরিবার। এর আগে তাঁরা আলমবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতেন। পরিবারের সদস্য চারজন। অপূর্বর বাবা গোবিন্দ ঘোষ ফল ব্যবসায়ী। আলমবাজার মোড়ে একটি বড় ফলের দোকান কাম গোডাউন ও একটি রেস্তরাঁ রয়েছে। মা রিনা ঘোষও ব্যবসার কাজে সাহায্য করেন। কয়েক বছর আগে মেয়ে অলোক্তিকার বিয়ে হয়েছে শ্রীরামপুরে। একমাত্র ছেলে অপূর্ব দু’বছর আগে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিটেক পাশ করেছে। বাবা অসুস্থ হওয়ায় চাকরি না করে ফলের ব্যবসায় হাত লাগিয়েছিলেন তিনি।
বুধবার সকালেও অন্যান্য দিনের মতো সেখানেই গিয়েছিলেন। বিকেল চারটে নাগাদ বাবা ও মাকে মাথাব্যথার কথা বলে ফিরে আসেন বাড়িতে। দোকানের ইলেকট্রিক বাল্ব কোথায় রাখা আছে, তা জানতে সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ ছেলেকে ফোন করেছিলেন মা রিনাদেবী। রাত ১২টা নাগাদ তাঁরা বাড়ি ফেরেন। সঙ্গে ছিলেন দোকানের কর্মচারী লালু খাটুয়া। অপূর্ব সকালেও লালুকে বলেছিল, ‘এত কষ্টের কাজ ভালো লাগে না। গুজরাতে গিয়ে চাকরি করব। তুই ভালো করে ব্যবসাটা দেখিস।’ সেকথাও এদিন জানিয়েছেন তাঁর মা।
পুলিসের দাবি, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাইকে চেপে অপূর্বের বাড়িতে আসে দুই যুবক। রাত ১২টা নাগাদ বেরিয়ে তারা বাড়ির অদূরে নর্দমায় একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট ছুড়ে দেয়। তারপর চলে যায় দক্ষিণেশ্বর মোড়ের দিকে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতের গলা, বুক, হাঁটু সহ গোটা শরীরে ১০টির বেশি কোপ থাকার কথা জানা গিয়েছে। চোখের জল মুছে গোবিন্দবাবু জানিয়েছেন, ঘরের ভিতর থেকে একটি ধারালো অস্ত্র পেয়েছে পুলিস। দুষ্কৃতীরা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ছেলের ফোনটা নর্দমায় ছুড়েছিল। তা পাশের বাড়ির উঠোনে গিয়ে পড়ে। পুলিস তা উদ্ধার করেছে।