উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
বালিগঞ্জ থানা এলাকার বেলতলা রোডের বাসিন্দা রাজ। মা গৃহপরিচারিকা। বাবা টিউশন পড়ান। পরিবারের অভিযোগ, ১২ জুন, বুধবার বাড়ির আলমারি ভাঙে যুবক। সেখানে মায়ের গয়না ছিল। প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার গয়না চুরি করে চম্পট দেয় সে। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগে এই কাণ্ড করে অভিযুক্ত। বিকেলে বাড়ি ফিরে ঘরের লণ্ডভণ্ড অবস্থা দেখে সন্দেহ হয় বাবা রবি দাসের। বালিগঞ্জ থানায় ছেলের বিরুদ্ধে বাড়ি থেকে চুরির লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। মামলা শুরু করেন তদন্তকারী অফিসার। যুবককে ফোন করে পুলিস। দেখা যায়, তার ফোন সুইচড অফ। তদন্তে পুলিস জানতে পারে ভবানীপুরের একটি সোনার দোকানে গয়না বেচে আড়াই লক্ষ টাকা পায় রাজ। তড়িঘড়ি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে সে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কেনে। সেই আনন্দে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত একটি পানশালায় বন্ধুদের সঙ্গে চলে পার্টি। সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন গৌতম কায়রা নামে স্থানীয় এক যুবক।
তার থেকে পুলিস জানতে পেরেছে, পার্টি শেষে নিমতলায় ভূতনাথ মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে সে। যাওয়ার পথে খিদিরপুরের হেস্টিংস মোড়ের কাছে চ্যাপেল রোডে দ্রুতগতিতে বাইক চালাচ্ছিল রাজ। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে সে। মাথায় হেলমেট থাকলেও গুরুতর চোট লাগে তার। আহত হন পিছনের সিটে থাকা গৌতমও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হেস্টিংস থানার পুলিস। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরবর্তীকালে যুবকের পরিচয় জানতে পেরে বালিগঞ্জ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিস। তখনই গোটা ঘটনার চিত্রনাট্য স্পষ্ট হয় তদন্তকারীদের কাছে। মৃতের পরিবারকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়। পরিবার সূত্রে খবর, যুবক নেশাগ্রস্ত ছিল। সম্প্রতি বাইক কেনার জন্য মাঝেমধ্যেই অশান্তি করত সে। তবে সেই ইচ্ছাপূরণ করতে নিজের বাড়িতেই চুরি করে রাজ।
লালবাজার সূত্রে খবর, হেস্টিংসের ঘটনাস্থল থেকে যুবকের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে মিলেছে ৫০ হাজার টাকা নগদ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, এই টাকা মায়ের গয়না চুরি করেই পেয়েছিল রাজ। শুধু তাই নয়, সেই ব্যাগ থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর সিরিঞ্জ। তার মাধ্যমে নেশা করত যুবক, এমনটাই ধারণা পুলিসের। মৃতের বন্ধুর থেকেও এমনটাই জেনেছেন তদন্তকারীরা।