উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার কমল সরকার ময়দানে ‘কাজু’ নামেই পরিচিত। তিনি গত দশকের শেষের দিক পর্যন্ত দেশ ও রাজ্যের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বাড়ি বরানগর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নর্দার্ন পার্ক এলাকায়। বুধবার রাতে পাশের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিনগরের বাড়ি থেকে তিনি নর্দার্ন পার্কের বাড়িতে ফিরছিলেন। ওই সময় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার শান্তনু মজুমদার ওরফে ‘মেজো’ দলবল নিয়ে তাঁকে আটকান। এরপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী বিজেপি ত্যাগ না করলে তাঁকে বাড়ি ছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, শান্তনুবাবুই বরানগরের উপনির্বাচনের দিন সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়েছিলেন।
কমল সরকার বলেন, আমি গত ২৩ মে বিজেপিতে যোগদান করেছিলাম। তারপর থেকে নানাভাবে হুমকি আসছিল। বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় শান্তনু মজুমদারের নেতৃত্বে তাঁর অনুগামীরা আমার উপর হামলা চালান। কাউন্সিলার নিজেও চড়-থাপ্পড় মেরেছেন। বিজেপি শিবির ত্যাগ না করলে আমাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন। পরিবার নিয়ে আমি তীব্র আতঙ্কে রয়েছি। আমার সঙ্গে বিধায়ক ফোনে কথাও বলেছেন। উনি আমার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি বিচার চাই।
অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার শান্তনু মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, কমলবাবু অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন। রাস্তায় আর এক মদ্যপের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল। আমি তাঁকে আগে থেকে চিনতাম। তাই দলের কর্মীদের নিয়ে আমিই বরং ওঁকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলাম। এখন কী উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন, বুঝতে পারছি না। বৃহস্পতিবার বিকেলে উনি আমার অফিসে এসে চা খেয়ে গিয়েছেন। বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। ভুল বোঝাবুঝি থেকে কিছু একটা ঘটতে পারে। শুনেছি, দুই পক্ষ বসে সমস্যা মিটিয়ে নিয়েছেন।