উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে জমি দখল থেকে শুরু করে একের পর এক অভিযোগ তুলে সন্দেশখালিতে শুরু হয় আন্দোলন। সাধারণ মানুষের এই আন্দোলনকে কার্যত হাইজ্যাক করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি’র বিরুদ্ধে। টাকা দিয়ে সেই আন্দোলনকে জিইয়ে রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিজেপি’র মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল। এই এলাকা থেকেই আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড় করায় বিজেপি। ভোটপ্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। সভায় রেখাকে ‘বাহাদুর বেটি’ বলতেও শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। রেখা কখনও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন, কখনও আবার পুলিসকে গাছে বেঁধে রাখার হুমকিও দিয়েছিলেন। কিন্তু, তৃণমূল প্রথম থেকে দাবি করে আসছিল যে, বসিরহাট কেন্দ্রে তারাই জয়ী হবে। আদতে হয়েছেও তাই। প্রায় তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে বসিরহাট লোকসভা আসনে পরাজিত হয়েছেন মোদির স্নেহধন্য রেখা পাত্র। ভোট গোনার কাজ শেষ হওয়ার আগেই তিনি গণনাকেন্দ্র ছাড়েন। আর সেই যে ছাড়েন, তারপর আর বসিরহাটের পথ মারাননি তিনি, এমনটাই অভিযোগ। শেষমেশ বসিরহাটের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে তিনি ‘নিরাপদ’ জায়গা সল্টলেকে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ভোট পরবর্তীকালে বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি’র নেতা-কর্মীরা। কিন্তু যাঁর জন্য তাঁরা লড়লেন, সেই রেখাই বেপাত্তা! ভোটের ফল বেরিয়েছে ১০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করছেন সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার সকালে রেখা রাজবাড়িতে আসেন। আক্রান্ত দুই বিজেপি নেতার সঙ্গে দেখা করে সটান চলে যান কলকাতায়। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেননি। বিজেপি নেতাদের কথায়, আসলে উনি হাতে চাঁদ পেয়ে যাওয়ায় যা হওয়ার তাই হয়েছে। কর্মীরা যখন আক্রান্ত, তখন তিনি নিরাপদে রয়েছেন কলকাতায়। এতদিন বাদে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে নামকাওয়াস্তে এসেছেন। নদী পেরিয়ে আন্দোলনের আঁতুড়ঘর সন্দেশখালিতে যাওয়ার সাহস হয়নি তাঁর।
আসলে দলেরই একাংশের মদতে বিজেপি’র এমন অবস্থা হয়েছে। রেখা প্রার্থী হতেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঘিরে ফেলেন। তা দেখে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, আন্দোলনের সময় আমরা ছিলাম। এখন তাঁর সুসময়। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা রেখাকে অভিযোগ জানাতেও ভয় লাগে। তবে, আগামী দিনে মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রেখা পাত্র।
তৃণমূলের টিপ্পনি, সন্দেশখালির মানুষ বুঝতে পেরেছেন, আন্দোলনের নামে ভোটের রাজনীতি করেছিল বিজেপি। ওরা চায় ভোটের রাজনীতি, আর আমরা মানুষের উন্নতি।