কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
শুক্রবার গভীর রাতে ডানকুনি পুরসভার ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চণ্ডীপুজোর জন্য প্রচুর মানুষ জল ভরতে এসেছিলেন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিস জানিয়েছে, নিখোঁজদের নাম যিশু গায়েন ও রণিত পাল। দু’জনেরই বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। যিশু ডানকুনির পিডব্লুডি কলোনি ও রণিত দক্ষিণ সুভাষপল্লির বাসিন্দা।
ডানকুনির পুজোর আয়োজকদের অন্যতম কার্তিক রায় বলেন, চামুণ্ডাপুজো ডানকুনিতে একটি বড় উৎসব। গোটা ডানকুনি থেকেই পুণ্যার্থীরা জল ভরতে এসেছিলেন। ওই দুই কিশোর গঙ্গায় কিছুটা দূরে চলে গিয়েছিল। আচমকা জোয়ার আসায় তারা তলিয়ে যায়। রাত থেকে আমরা খোঁজাখুঁজি করে তাদের উদ্ধার করতে পারিনি। শনিবারও তাদের খোঁজ মেলেনি। পুণ্যার্থীদের কেউ কেউ বলেছেন যে, আরও এক যুবক ওই দুই কিশোরকে বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছেন। নিখোঁজ কিশোর রণিতের এক আত্মীয় বলেন, ও একটি ঘটে জল ভরে এনেছিল। তারপরে দ্বিতীয় ঘট ভরতে যায়। তখনই জোয়ার এসেছিল। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ওই দুর্ঘটনা ঘটে। রাতেই ডানকুনি ও উত্তরপাড়া থানার পুলিসের তৎপরতা শুরু হয়। শনিবারও দিনভর স্পিডবোট ও ডুবুরি দিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। কিন্তু নিখোঁজদের হদিশ মেলেনি।
এদিকে, শুক্রবার গভীর রাতের দুর্ঘটনার জেরে গঙ্গার পাড়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে জোরালো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এর আগেও একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি নৌকাবিহার করতে এসে বাবুঘাটেই একদল যুবক-যুবতী তলিয়ে যেতে বসেছিল। সে যাত্রায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। তারপরেও প্রশাসন পদক্ষেপ করেনি। শুক্রবার রাতেও বিপুল ভিড় হয়েছিল। সেই সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সতর্কতার প্রয়োজন ছিল।