কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে সাতের ঘেরি এলাকায় হঠাৎই মুড়িগঙ্গা নদী বাঁধে ৩০ ফুট এলাকাজুড়ে ধস নামে। রাতে ফের ২০ ফুট ধস দেখা দেয়। এরপরই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এখন নদীতে জোয়ার এলেই এলাকার বাসিন্দারা ভয়ে বাঁধের উপরে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে নদী বাঁধ, সেদিকে খেয়াল রাখতেই তাঁরা দু’বেলা বাঁধে নজরদারি করছেন।
এবিষয়ে সাতের ঘেরির এক বাসিন্দা শুকদেব মিস্ত্রি বলেন, প্রায় ৫০ ফুট এলাকাজুড়ে নদী বাঁধে ধস নেমেছে। এখনও বাঁধের মাটি খসে খসে নদীতে পড়ছে। ধীরে ধীরে ধসের পরিমাপও বাড়ছে। যে কোনও মুহূর্তে বড় কোনও বিপদ ঘটতে পারে। ধস দেখা গিয়েছে যে নদী বাঁধে, তার লাগোয়া এলাকাতে আবার ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল ধরা প্রায় ৩০০ মিটার এই রিং বাঁধটি ২০২২ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এই রিং বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় এখন ছোট বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। নদীর জল বাড়লে ওই ফাটলগুলি থেকে গ্রামে নোনা জল ঢুকতে পারে। বুধবার অমাবস্যা রয়েছে। দিনের তুলনায় রাতে জলস্তর আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা। আগামী তিনদিনও নদীর জল বাড়বে। এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকার বাসিন্দারা কেউ ঘুমোতে পারছেন না। বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাণেশ্বর দাস বলেন, ভাঙন এলাকায় গিয়ে পরিদর্শন করেছি। বাঁধের ছবি তুলে সেচদপ্তরের আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেচদপ্তরের আধিকারিকরাও এসে নদী বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। শীঘ্রই ওই নদী বাঁধ মেরামত করা হবে বলে সেচদপ্তরের পক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে।
অন্যদিকে, সাগরের চকফুল ডুবি এলাকাতেও হুগলি নদীর বাঁধে ধস নেমেছে। সাগর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল আমির সাহা বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই নদী বাঁধটি মেরামত করা হবে।