কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
শুক্রবার দেবশ্রীদেবী এবং অনির্বাণবাবু শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন জমা দিতে যান। দেবশ্রীদেবীর শোভাযাত্রায় দেখা গিয়েছে তাক লাগানো ট্যাবলো। তাতে অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে তৈরি একটি মন্দির। তার ভিতরে রামলালার সাজে একজন বসে। ছিল একটি জেলখানা। সেটির ভিতর সাম্প্রতিক অতীতে গ্রেপ্তার হওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাটআউট। এলগিন রোডে নেতাজি ভবন থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত সর্বানন্দ সোনওয়ালের ছবিও ছিল। সবই ছিল। কিন্তু শোভাযাত্রার মুখ্য আকর্ষণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই শুধু এলেন না। ফলে রীতিমতো তাল কাটল মিছিলের। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, ডিব্রুগড়ে আবহাওয়া খারাপ থাকায় বিমানে উঠতে পারেননি মন্ত্রী। তবে নেতা না আসায় বেজায় মর্মাহত বিজেপি কর্মীরা। শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতাকে ছাড়াই হাজরা মোড়ে শেষ হয় শোভাযাত্রা। তারপর দেবশ্রীদেবী গাড়িতে চেপে রাসবিহারী হয়ে আলিপুরে মনোনয়ন জমা দিতে যান।
অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য, কথা দিয়ে কথা রেখেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি গড়িয়া থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন। তবে মনোনয়ন জমা দেওয়া পর্যন্ত থাকেননি। অনির্বাণবাবু টালিগঞ্জে মিছিল শেষ করেন। দুপুর একটা নাগাদ আলিপুরে কলকাতা পুরসভার ন’নম্বর বোরো অফিসের কাছে তাঁকে আটকে দেয় পুলিস। বিজেপির দাবি, জেলাশাসকের ক্যাম্পাসে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মনোনয়ন জমা দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন। তাই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে। ফলে দুপুর দু’টো নাগাদ অনির্বাণবাবু মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ পান। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনির্বাণবাবু অভিষেকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘অভিষেক অহেতুক দেরি করেছেন। এর জন্য রেলমন্ত্রী থাকতে পারেননি। দেরি হচ্ছে বলে, অন্য কাজ থাকার কারণে চলে যান।’ এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এদিন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত মনোনয়ন জমা করেছেন।