কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
বুধবারই ৫৪ বছরে পা দিলেন এনরিকে। দলকে ফাইনালে তুলে বিশেষ দিন আরও আনন্দের করে তুলতে চেয়েছিলেন পিএসজি কোচ। তবে ভাগ্যের কাছে হার মানতে হল এমবাপে-ভিতিনহাদের। ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে ৩০টি শট নেন পিএসজি ফুটবলাররা। এরমধ্যে চারটি বল পোস্টে লাগে। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষে হতাশ এনরিকে। বললেন, ‘আমি সচরাচর ম্যাচ শেষে ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলি না। তবে এই মুহূর্তে আমার ওদের পাশে দাঁড়াতেই হবে। দু’লেগেই দল দারুণ ফুটবল খেলেছে। পরিসংখ্যানই তা বলে দিচ্ছে। তবে পোস্ট ভাগ্যের কাছে হার মানতে হল।’
শেষ চারের প্রথম লেগে জয়ের সুবাদে ফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রেখেছিল বরুসিয়া। মঙ্গলবার অ্যাওয়ে ম্যাচে দুর্গ অক্ষত রাখাই প্রথম লক্ষ্য ছিল কোচ এডিন টেরজিচের। সেই মতো রক্ষণ জমাট রেখে প্রতি-আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন স্যাঞ্চো-ফুলক্রুগরা। পক্ষান্তরে, শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে পিএসজি। প্রথমার্ধে অবশ্য কোনও দলই গোলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেনি। বিরতির পরই গোলের সুযোগ এসেছিল পিএসজি’র সামনে। ৪৭ মিনিটে এমবাপের শট পোস্টে লাগে। এর তিন মিনিট বাদেই জুলিয়ান ব্রেন্টের ক্রস থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ হামেলসের (১-০)। ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়তেই তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে ওঠে পিএসজি। তবে দিনটা তাদের ছিল না। ৬১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নুনো মেন্ডিসের নেওয়া শট ফের পোস্টে ধাক্কা খায়। পাশাপাশি দু’টি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন গনজালো র্যামোস। শেষলগ্নে এক মিনিটের ব্যবধানে এমবাপে ও ভিতিনহার শট আরও একবার পোস্টে লাগতেই পিএসজি’র বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে মঙ্গলবারই পিএসজি’র জার্সিতে শেষ ম্যাচটি খেলে ফেললেন এমবাপে। মরশুম শেষেই তিনি রিয়ালে যোগ দেবেন। তবে তার আগে প্যারিসের ক্লাবটিকে সাফল্য এনে দিতে না পারার হতাশা গ্রাস করেছিল তাঁকে। বললেন, ‘এই ব্যর্থতা গোটা দলের। একাধিক সুযোগ পেলেও গোল করতে ব্যর্থ আমরা।’ অন্যদিকে, দলকে ফাইনালে তুলে উচ্ছ্বসিত বরুসিয়া কোচ টেরজিচ। বললেন, ‘ছেলেরা দু’লেগেই দারুণ ফুটবল মেলে ধরেছে। এর জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।’