ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। একটা বিক্ষোভের খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই এবং গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতির সামাল দিই।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, একটু দমকা বাতাস দিলেই এখানে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে। আর বৃষ্টি পড়লে তো ইলেকট্রিকের দেখাই পাওয়া যায় না। দিনের পর দিন এভাবেই নাজেহাল হতে হয় মানুষকে। প্রতিমাসে মোটা টাকার বিদ্যুতের বিল দিলেও পরিষেবা মেলে না আমাদের।
সর্বাঙ্গপুরের বিক্ষোভকারী কয়েকজন যুবক বলেন, গতকাল সামান্য একটু বৃষ্টি হয়েছে আর দমকা বাতাস দিয়েছে তাতেই লোডশেডিং করে বসে আছে বিদ্যুৎ দপ্তর। কাস্টমার কেয়ারে ফোন করলেও পরিষেবা মেলেনি। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর সারারাত গোটা এলাকা অন্ধকারে ডুবে ছিল। গরমে অনেকেই ঘুমাতে পারেননি। দিনের পর দিন আমরা অভিযোগ জানালেও, পরিষেবার কোনও উন্নতি নেই।
জেলা বিদ্যুৎ বন্টন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর জেরে জেলার অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি, যাতে দ্রুত সব জায়গায় পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায়। কিছু প্রান্তিক এলাকায় আমরা দ্রুত পরিষেবা ঠিক করতে পারিনি। সেগুলি সকালেই ঠিক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কালবৈশাখীর জেরে বহরমপুর, রেজিনগর, বেলডাঙা, হরিহরপাড়া, জলঙ্গি, রানিনগর, কান্দি, খড়গ্রাম, জঙ্গিপুর, লালগোলা সর্বত্রই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। রাতে বহরমপুর গোটা শহর অন্ধকারে ঢেকে যায়। ঝড়বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর রাতে বেশ কিছুক্ষণ লোডশেডিং হয়েছিল। তার কিছুক্ষণ পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। বহরমপুরের রানিবাগানের বাসিন্দা গৌতম চক্রবর্তী বলেন, প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় লোডশেডিং করে রাখা হয়েছিল। তবে এটা নতুন কিছু নয়, সামান্য মেঘ ডাকলেই এখানে পাওয়ার অফ করে রাখা হয়। এদিকে গরমে মানুষের সমস্যা বাড়ে। শহরের সকলের বাড়িতে তো জেনারেটর বা ইনভার্টার নেই। বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে আবেদন, আগামী দিনে পরিষেবা একটু ভালো করা দরকার।