কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
পুলিস ও মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, তিনমাস ধরে স্ত্রীর সঙ্গে ওই ব্যক্তির অশান্তি চলছিল। শুক্রবার রাতেও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এদিন সকালে সিঁড়ির তলায় তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আসলে কী ঘটেছে তা নিয়ে ধন্দে বাড়ির লোকজন। এলাকার বাসিন্দারা ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি তুলেছেন।
রঘুনাথগঞ্জ থানার এক আধিকারিক বলেন, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই ব্যক্তি মদ্যপান করে এসে স্ত্রীকে গালিগালাজ ও মারধর করেন। মৃতের স্ত্রী সোনামণি নাথের দাবি, জয় দোতলার বারান্দায় শুয়ে ছিলেন। এদিন ভোরে তাঁকে সিঁড়ির তলায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন। পুলিস সূত্রে খবর, তাঁর দেহে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া, কোনও ভারী বস্তু দিয়ে তাঁর মাথায় ও দেহে একাধিকবার আঘাত করা হয়েছে। মৃতের স্ত্রী বলেন, আইপিএল জুয়ায় টাকা পয়সা হেরে যেত। আমার সোনার গয়নাগাটিও নিয়ে নেয়। প্রায়শই মদ খেয়ে এসে বাড়িতে অশান্তি করত। অশান্তির কারণে তিনদিন ধরে খাওয়াদাওয়া ও দু’চোখে ঘুম নেই। আমি ক্লান্ত হয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে সবার চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙলে দেখি পড়ে রয়েছে। রাতে মদ্যপান করে এসে বারবার পড়ে যাচ্ছিল। কী হয়েছে আমি জানি না। মৃতের মা বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলেকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। কী হয়েছে আমি জানি না। তবে বউমার সঙ্গে প্রায়শই অশান্তি হতো। সম্মতিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মুর্তজা শেখ বলেন, আমি এলাকার বাইরে রয়েছি। কী হয়েছে সঠিক জানি না। তবে পুলিস পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।