কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
দীঘা রামনগর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর দীঘাকে গোয়ার আদলে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার তত্ত্বাবধানে গত কয়েক বছরে আমূল পাল্টে গিয়েছে দীঘা।
যদিও এনিয়ে শাসকদলের প্রচারকে কটাক্ষ করেছে পদ্ম শিবির। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, দীঘার কিছু অংশে সৌন্দর্যায়ন ও কয়েকটি পার্ক কাজ ছাড়া সেভাবে কিছু হয়নি। উন্নয়নের নামে ঝাউবন কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। স্টল বণ্টনে অনিয়ম হয়েছে। দীঘার প্রসিদ্ধ ঝিনুক শিল্পের উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কর্মসংস্থান হয়নি। মূল কথা হল, দীঘা গোয়া হয়নি।
দীঘার প্রবেশপথে রয়েছে ওয়েলকাম গেট। কয়েকবছর আগে মোহনা থেকে ওড়িশা সীমান্তের উদয়পুর পর্যন্ত সমুদ্রপাড় কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। দীঘায় একাধিক সুসজ্জিত বিশ্ববাংলা পার্ক হয়েছে। ওড়িশা সীমানার কাছে ‘ঢেউসাগর’ পার্ক তৈরি হয়েছে। যার নামকরণ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। পাশেই প্রকৃতির কোলে গড়ে উঠেছে ‘নেচার ট্রেল পার্ক’। অমরাবতী পার্ক নতুনভাবে সেজেছে। পুলিস হলিডে হোমের কাছে বড় পার্ক ও ওল্ড দীঘায় সত্যজিৎ রায় পার্ক তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি পার্কেই পর্যটকদের ভিড় থাকে। যানজট কমাতে দীঘায় বাইপাস হয়েছে। দীঘা থেকে কাঁথির শৌলা পর্যন্ত সমুদ্র উপকূল বরাবর ‘সৈকতসুন্দরী’ মেরিন ড্রাইভ রাস্তা এবং যাত্রাপথে তিনটি সেতু তৈরি হয়েছে। দীঘায় মিটিংয়ের জন্য কোনও বড় কনভেনশন হল ছিল না। রাজ্য সরকার ‘দীঘাশ্রী’ কনভেনশন হল তৈরি করেছে। দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে নতুন করে সাজিয়ে তুলেছে উন্নয়ন সংস্থা। দীঘায় পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় চমক। বর্তমানে মন্দির তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। দীঘার উন্নয়নে আরও নানা কাজ হচ্ছে।
রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাইচরণ সার বলেন, এই সরকারের আমলে দীঘা পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। একথা বিরোধী নেতারাও একবাক্যে স্বীকার করেন। দীঘাকে ঘিরে যে কর্মকাণ্ড হয়েছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। আগামী দিনে দীঘা আরও বদলে যাবে। আমরা প্রচারে বেরিয়ে এটাই জনগণের কাছে তুলে ধরছি।