কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
খড়গপুর শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকাই রেলের অধীনে। রেল কোয়ার্টারের গা ঘেঁষে গজিয়ে উঠেছে একাধিক বস্তি। তেমনই ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর বস্তি এলাকায় প্রায় শতাধিক পরিবারের বাস। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে তাঁরা ওই এলাকায় বাস করছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই গরমে বিদ্যুৎ, পানীয় জল ছাড়া বেঁচে থাকা দায়। এনিয়ে আমরা সব মহলে জানিয়েছি। যতবারই ভোট আসে, ততবারই নেতারা ভোট চাইতে এসে আমাদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। তৃণমূল সমস্যা সমাধান করতে পারেনি বলে আমরা ভেবেছিলাম বিজেপিই আমাদের উদ্ধার করবে। কিন্তু এত বছর ধরে বিজেপিকে জিতিয়েই কী লাভ হল? তাই এবারে আর কোনও দলকেই ভোট দেব না ভাবছি।
বাসিন্দারাই মনে করাচ্ছেন, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে খড়গপুরে প্রচারে এসে বস্তির উন্নয়নে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেন তত্কালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। প্রথমবারের জন্য ভোটে জিতেছিলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালেও দিলীপ ঘোষকে ৪৫ হাজার ভোটে লিড দিয়েছেন খড়গপুরের মানুষ। যদিও সমস্যার সমাধান হয়নি। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা গত পুর নির্বাচনেও বিজেপির মমতা দাসকে জিতিয়ে কাউন্সিলার করেছেন। কিন্তু সমস্যা মেটেনি আজও। সুনীতা যাদব, সন্ধ্যা সাউ, হিরামতি দেবীরা সম্মিলিতভাবে বলেন, আলোর অভাবে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে পারে না। গরমে বাচ্চারা ঘুমোতে পারে না। জল আনতে অনেক দূর যেতে হয়। এনিয়ে রেলকে অনেকবার জানিয়েছি। কিন্তু নিজেদের উপর থেকে দায় ঝেড়ে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা বস্তির উন্নয়নের দায় তাদের নয়।
বাসিন্দারা বলেন, শুক্রবার নিজেদের দীর্ঘদিনের সমস্যার কথা জানাতেই রেলমন্ত্রীর সভাস্থলে এসেছিলাম। তাহলে সমস্যার কথা জানাতে পারলেন না কেন? প্রত্যেকেই বলেন, জানাব ভেবেছিলাম। কিন্তু নেতারা আমাদের হুমকি দেয়। বলে পুলিস দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে দেবে। তাই আমরা জানাতে পারিনি।
এনিয়ে খড়গপুরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুৎ দিতে চাইছি। জল আলোর ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু প্রতিবারেই রেল বাধা দিচ্ছে। এমনকী, যে সমস্ত রেল বস্তিতে জল আলো আছে, মাঝেমধ্যেই রেলের আধিকারিকরা সংযোগ বিছিন্ন করে দেন। এদিন অবশ্য রেলমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘খড়গপুরে কিছু এলাকায় সমস্যা আছে। আমি দিদিভাইয়ের (অগ্নিমিত্রা পল) থেকে জেনেছি। আমি আপনাদের সামনে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, আপনারা দিদিভাইকে ভোট দিয়ে দিল্লি পাঠান, তারপর আমি আর মোদি সাহেব সব সমস্যার সমাধান করব।’