কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
নবদ্বীপের মালঞ্চ পাড়া গাবতলা এলাকায় ঢাকিদের মধ্যে এখন চরম ব্যস্ততা। প্রতিটা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ভাড়া মিললেও তুলনামূলক তৃণমূল থেকে বেশি ডাক পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন পালা করে হয় এ দল, না হয় ও দলের মিছিলে ঢাক বাজাতে যেতে হচ্ছে ঢাকিদের। নবদ্বীপ পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ পাড়ার গাবতলায় প্রায় দেড়শো পরিবার বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানোর সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে ৬০টি ঢাকি পরিবার।
মালঞ্চপাড়া গাবতলার ঢাকশিল্পী বিমান দাস বলেন, পুজো পার্বণ, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঢাক বাজালেও অন্য সময়ে রোজগারের জন্য কেউ জনমজুর, কেউ ভ্যান রিকশ, কেউবা টোটো, কেউ বা চায়ের দোকান চালান। ভোটের সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রচারে ডাকায় অসময়ে ঢাকিদের ভালোই উপার্জন হচ্ছে। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম সব দলের হয়ে আমরা ভাড়া খাটছি। আমাদের এটাই ব্যবসা। সারা বছর তো বায়না থাকে না। এই সময়ে মাথাপিছু একেকজনের আটশো থেকে হাজার টাকা করে রোজগার হচ্ছে।
মালঞ্চ পাড়ার বাসিন্দা ঢাকি অসীম দাস বলেন, দুর্গাপুজো, কালীপুজোর সময়ে বাইরে ঢাক বাজাতে চলে যাই। কিন্তু নির্বাচন এলে নবদ্বীপেই রোজগারের সুযোগ মিলে যায়। এ পর্যন্ত আমাকে তিন জায়গায় যেতে হয়েছে দল নিয়ে। কখনও ছ’জন, কখনও আটজন, কখনও বা চারজনের দল নিয়ে যেতে হয়। ভোটের সময় ঢাক বাজিয়ে যা রোজগার হচ্ছে তা দিয়ে বাজারের কিছুটা ধার মেটাচ্ছি। প্রতিদিন ঢাক পিছু আটশো থেকে হাজার টাকা পারিশ্রমিক পাচ্ছি।
মালঞ্চপাড়া গাবতলার বাসিন্দা বি টেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র অনিমেষ দাস বলেন, আমার বাবাও এই ঢাক বাজান। আমি নিজেও ঢাক বাজাতে যাই। নবদ্বীপ পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বৃন্দাবন মণ্ডল বলেন, এই ওয়ার্ডে দেড়শো বাদ্যযন্ত্র শিল্পী আছেন। বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠানে বাজনা বাজিয়ে এঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন। এই এলাকার ঢাকিদের মধ্যে প্রায় ১২০ জন শিল্পীভাতা, প্রায় পাঁচশো জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ৩০ জন বার্ধক্য ভাতা, প্রায় ৫০ জন বিধবা ভাতা আর চার জন মানবিক ভাতা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ঘরে ঘরে করে দেওয়া হয়েছে। ভোটের একমাস আগে থেকে ওঁরা কিছুটা হলেও বাড়তি টাকা পয়সা উপার্জন করতে পারছেন। তাতে তো ভালোই হচ্ছে।