পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় বৈধ এবং সচল মোট ১৬৬টি বালিঘাট রয়েছে। যেগুলি প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তিতে চলছে। জেলা থেকে ২০১৯-’২০ আর্থিক বছরে প্রায় ৪৬ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এর মধ্যে রয়্যালটি বাবদ আদায় হয়েছে, প্রায় ৩৮ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে জেলাজুড়ে অভিযান চালিয়ে বাকি ৮ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা ফাইন বাবদ আদায় হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় সাড়ে ৪৬ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আদায় হয়েছে। কিন্তু, ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে জেলা থেকে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছিল প্রায় ৫৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সেই তুলনায় এবার ১০ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ জানুয়ারি গলসির শিকারপুরে বাড়ির উপর বালি বোঝাই লরি উল্টে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই শিশু সহ একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার পর গলসির ৮টি বালিঘাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ, এলাকার মানুষ বালিঘাটের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন। বেশ কয়েক মাস ধরে ওই ঘাটগুলি বন্ধ ছিল। এছাড়াও কালনার ২টি খাদান বন্ধ রাখা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, মার্চ মাস থেকেই করোনা পরিস্থিতির জেরে সব জায়গাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এর ফলে, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই বালিঘাটগুলিতে শ্রমিক কমতে থাকে। ২৩ মার্চ থেকে রাজ্য সরকারের লকডাউন শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই বালিঘাটগুলি বন্ধ হতে শুরু করে। ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে। তখন সব ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে এবার রাজস্ব কমেছে।
এদিকে, প্রতি বছর বর্ষার শুরু আগেই জেলার সমস্ত বালিঘাট থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ করা হয়। প্রতি বছর ১৫ জুনের মধ্যেই বন্ধ করা হয়। কারণ, বালিাঘাট থেকে নদীর পাড় হয়ে বালবোঝাই লরি যাতায়াত করে। বর্ষার জেরে যে কোনওদিন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু, এবার ২৫ মার্চ থেকে দু’মাসের বেশি সময় ধরে সম্পূর্ণ লকডাউন চলেছে। এই দু’মাসের বেশি সময় বালিঘাটগুলিও বন্ধ ছিল। তাই এবার ১৫ জুন বালিঘাট বন্ধ করা হয়নি। জুলাই মাস পর্যন্ত বালি উত্তোলনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, লকডাউনের জন্য এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে, জুলাইয়ের ১২ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে আমরা জেলার সমস্ত বালিঘাট থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ করব।