কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
বর্ধমান শহরের কার্জন গেট থেকে জিটি রোড ধরে স্টেশনের দিকে টোটো যাতায়াতে বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু, তারপরেও বহু টোটো জিটি রোডে যাতায়াত করে। গত শনিবার বর্ধমানের ট্রাফিক ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় কার্জন গেটে লাঠি নিয়ে একের পর এক টোটো ভাঙচুর করেন। সেই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরই নিন্দার ঝড় ওঠে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিসও কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে। এক পদস্থ পুলিসকর্তা বলেন, আমরা বলিউড বা হলিউড সিনেমার মতো ট্রাফিক ব্যবস্থা চাইছি না। এভাবে কখনই ভাঙচুর করা যায় না। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে বিজেপির পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতীর কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান সদর জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনীল গুপ্তা বলেন, গরিব মানুষ টোটো চালান। তাঁরা যদি কোনও অপরাধ করে থাকেন, তাহলে ট্রাফিক পুলিস মামলা দিতে পারত, তাঁদের জরিমানা করতে পারত। কিন্তু, তা না করে একেবারে রাস্তায় দাঁড়িয়ে টোটো ভাঙছে? যাত্রী থাকা অবস্থায় ভাঙচুর করা হয়েছে। যাত্রীদের মাঝপথে নামিয়ে ভাঙচুর করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে আমরা জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা ওই পুলিস অফিসারের শাস্তিও দাবি করছি।
সোমবার পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য ট্রাফিক ওসিকে শোকজ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরণের ঘটনা আর ঘটে সেটা তাঁকে সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে যথাথয ব্যবস্থাও নেব।
ট্রাফিক ওসির টোটো ভাঙচুর নিয়ে কড়া নিন্দা করেছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সংসদ সদস্য এসএস আলুওয়ালিয়া। তিনি ওই অফিসারের শাস্তির দাবিও তুলেছেন। তিনি বলেন, যেভাবে লাঠি দিয়ে টোটো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, একজন ট্রাফিক পুলিসের পদস্থ আধিকারিক ইউনিফর্ম করে করছেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক। কেননা, টোটো যদি কোনও নিয়ম ভেঙে থাকে, তার জরিমানা হতে পারে, তার চালান হতে পারে। কিন্তু, ভারত সরকার বা পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও আইনে ট্রাফিক আধিকারিককে লাঠি দিয়ে বা পাথর দিয়ে কোনও টোটোকে ভেঙে দিতে পারেন না। আজ টোটো ভাঙা হল লাঠি দিয়ে। কালকে মানুষের মাথা ভেঙে দেবে এভাবে। এর প্রতিকার হওয়া উচিত। আমি আশাকরি, জেলার পুলিস সুপার এবং জেলাশাসক নিশ্চয়ই এই ভিডিও দেখবেন। যারা এই কু-কীর্তি করেছে, সেই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন। ট্রাফিকে ভুল করে থাকলে তার শাস্তি কিন্তু লাঠি নয়। আমার মনে হয়, বিচারকও উপর কগনিজেন্স নিয়ে আধিকারিকের উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এদিকে, ভাঙচুরের ব্যাপারে ট্রাফিক ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি বলেন, সামন্য একটি জিনিস নিয়ে এরকম করছেন কেন? অন্য অনেক জিনিস তো আছে। টোটো ভাঙার কী কোনও গাইড লাইন আছে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যা জানার পুলিস সুপারকে ফোন করুন। আমি কিছু বলব না।