কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
খড়্গপুর বিধানসভা দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের দখলে ছিল। ২০১৬ সালে এই আসনটি কংগ্রেসের থেকে বিজেপি ছিনিয়ে নেয়। বিজেপির বিধায়ক দিলীপ ঘোষ সংসদ সদস্য হওয়ায় ওই আসনে ফের নির্বাচন হচ্ছে। খড়্গপুর বিধানসভার একটা বড় অংশজুড়ে রেল এলাকা রয়েছে। রেলের জমিতে গোলবাজারের মতো বড় মার্কেটের পাশাপাশি বহু মানুষ ঘরবাড়ি করে বসবাস করছেন। রেলের জমি হওয়ায় এই সব এলাকায় উন্নয়ন নেই বললেই চলে। পুরসভায় ক্ষমতায় থাকলেও তৃণমূল এই বিধানসভায় কখনও জয়ী হয়নি। গোলবাজার, গেট বাজারের অনুন্নয়ন নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার সরব হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে রাস্তার দু’ধারে আলো লাগানো থেকে শুরু করে রাস্তা তৈরি সহ কত উন্নয়ন করেছি, তা এই পুরসভার মানুষ জানেন। এক সময় এই বিধানসভা কংগ্রেসের দখলে ছিল। কেন্দ্রে তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু, এই বিধানসভায় গোলবাজার সহ রেলের জমিতে যেসব ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বসবাস করছেন, তাঁদের উন্নয়ন নিয়ে কংগ্রেস কিছু করেনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির উপর এই সব এলাকার মানুষ ভরসা রেখেছিলেন। বিজেপি কেন্দ্রেও ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু, এখনও এই শহরের গোলবাজারের ব্যবসায়ীদের দুর্দশা ঘোচেনি। তবে, তৃণমূলের উপর এই সব এলাকার মানুষ ভরসা রাখলে তাঁরা হতাশ হবেন না, এটুকু বলতে পারি।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস তথা বামজোট প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, রেলের জমিতে উন্নয়ন করা নিয়ে অনেক সমস্যা হয়। কংগ্রেস একেবারে কাজ করেনি, এটা ঠিক নয়। একটি জায়গায় বহু পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। বিদ্যুৎ দপ্তরে দরবার করে সেখানে কেন্দ্রীয়ভাবে মিটার বসিয়ে আমরা সমস্যার সুরাহা করেছি। তবে, এটা ঠিক রেলের জমিতে সার্বিক উন্নয়ন এখনও হয়নি। মানুষ আমাদের উপর আস্থা রাখলে আমরা রেলের এলাকায় উন্নয়ন করব।
বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা বলেন, রেলের জমিতে উন্নয়ন করা নিয়ে জটিলতা রয়েছে বলেই কংগ্রেসের বিধায়ক দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও কিছু করতে পারেনি। ফলে, বিজেপি কয়েক বছরে সেই সমস্যা সমাধান করে দেবে, এটা ভাবা ভুল। আমাদের সংসদ সদস্য রেল এলাকার সার্বিক উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষ বিজেপির উপর আস্থা রাখলে এই সব এলাকায় উন্নয়ন হবে।