সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মেয়র বলেন, কিছুদিন আগে গজলডোবায় তিস্তার বাঁধ মেরামতের জন্য পানীয় জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। সেসময় তিস্তার জল না পেয়ে মহানন্দার জল দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা হয়েছিল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সিকিমের এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় শিলিগুড়ি পানীয় জল সরবরাহে নতুন সঙ্কট তৈরি করেছে। বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র বলেন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, তিস্তার প্রবল জলচ্ছাসে লকগেট গজলডোবায় খুলে দিতে হয়েছে। মাঝেমধ্যে জলের স্তর নেমে যাচ্ছে। ভেসে আসা গাছ, বাড়িঘরের অংশ ও পলিমাটি এসে জমছে। এতে জল প্রকল্পের ক্ষতি হয়েছে। দু’টি প্রকল্পে যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত করতে কিছুদিন সময় লাগবে। তার জেরে কিছুদিন পানীয় জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে চাহিদামত জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হবে। পিএইচই তাদের জলের ট্যাঙ্ক দিয়ে সাহায্য করবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কখন হবে, তা আগাম বলা যায় না। তাই আমাদের তৈরি থাকতে হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শহরে ১০০টি কুয়ো খোঁড়া হবে। সেই জল শহরের চাহিদা পূরণ করবে।
ফুলবাড়িতে জল প্রকল্পের সমস্যার জন্য গৌতম দেব বাম পরিচালিত গত পুরবোর্ডকে দায়ী করে বলেন, এই প্রকল্প বাম আমলে তৈরি হয়েছিল। তারা জল ধরে রাখার মতো কোনও জলাধার তৈরি করেনি। সেই জলাধার তৈরি হলে এখন আর সমস্যা দেখা দিত না। আমরা নতুন করে মেগা জলপ্রকল্প হাতে নিয়েছি। গজলডোবা থেকে তিস্তার জল এনে শহরের মেগা জল প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। রউরকেল্লা থেকে পাইপ আসছে। এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজেরও টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রকল্প হয়ে গেলে শহর ও লাগোয়া এলাকায় পানীয় জল সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।