বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
ইংলিশবাজার থানার আইসি মদনমোহন রায় বলেন, বাজারে ভিড় না করার আবেদন জানিয়ে বুধবার আমরা শহরে মাইকিং করি। কয়েকদিন আগে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং নিয়ে মালদহের ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। এদিনও পুলিস কিছু কিছু জায়গায় টহল দিয়েছে। তারপরেও কিছু মানুষ সরকারি নির্দেশিকা মানেনি বলে আমরা জানতে পেরেছি। এবার অভিযান চালিয়ে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মালদহে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিকেল ৫টার পর কেউ রাস্তায় যেন না বের হন। ওই সময়সীমার পর কাউকে রাস্তায় পাওয়া গেলে পুলিস কড়া পদক্ষেপ করবে।
বৃহস্পতিবার মালদহে জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়। এদিন ওই উৎসব মোটের উপর অনাড়ম্বর ছিল। তবে সকাল থেকে ষষ্ঠীতলা সহ বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দেওয়া হয়। কিছু কিছু জায়গায় অবশ্য ভিড়ও হয়। তবে পুজোপাঠের সময় মহিলাদের অনেক জায়গাতেই দূরত্ব মেনে বসতে দেখা যায়। কিন্তু বাজারে সেই চিত্র চোখে পড়েনি। উল্টে বছরের অন্যান্য উৎসবের মতোই ফলমূল, শাকসব্জির বাজারে কালো মাথা থিকথিক করতে দেখা গিয়েছে। মানুষ দরদাম করে চুটিয়ে বাজার করেছে। ক্রেতাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই মাস্ক থাকলেও বিক্রেতারা সেসবের পরোয়া করেননি। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর মাস্ক থুতনি অথবা গলায় ঝুলতে দেখা গিয়েছে। মাছের বাজারে পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল। সর্বত্র অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে কেনাকাটা চলে।
ক্রেতাদের মধ্যে শম্ভুনাথ মণ্ডল, অনিমা দাসেরা বলেন, জামাইদের আপ্যায়ণ করার পাশাপাশি বাড়িতে পুজোপাঠের আয়োজন করা হয়েছে। তারজন্য সামান্য কেনাকাটা করতেই হতো। সেই জোগাড়টুকু করার জন্য বাজারে এসেছি। তবে মাস্ক পড়ে এবং সোশ্যাল ডিস্ট্যাসিং মেনে বাজার করেছি। ফলে করোনা সংক্রামিত হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তবে অনেকেই অবশ্য ওইসব বিধিনিষেধ মানেননি। এই বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত।
এক মাছ বিক্রেতা বলেন, মাছের জন্য অনেকেই দরদাম করেন। ক্রেতারা বর্তমানে দূরে দূরে থেকে কথা বলছেন। মুখে মাস্ক পরে থাকলে ক্রেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই তা গলায় ঝুলিয়ে রেখেছি। পুলিস বা ব্যবসায়ী সংগঠনের লোকজন এলে মুখে লাগিয়ে নিচ্ছি। এভাবেই ব্যবসা করতে হচ্ছে।
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং সহ অন্যান্য সরকারি নির্দেশিকা মেনে ব্যবসা করার জন্য আমরা সংগঠনের সদস্যদের অবহিত করেছি। প্রয়োজনে ফের বিষয়টি নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে। করোনার বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হয়েই লড়াই করতে হবে।