বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
আংশিক সময়ের ওই শিক্ষক শিক্ষিকার বলেন, মাসের শেষে পারিশ্রমিক বাবদ কিছু টাকা পেতাম। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় এখন আর তা মিলছে না। এদিকে প্রাইভেট টিউশনিও বন্ধ হয়ে আছে। তাই আমরা চরম বিপাকে পড়েছি। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জানি না। ওই টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চালাতে হয়। এখন জমানো টাকাও শেষের পথে।
করোনা ভাইরাসের দাপটে দু’মাস হয়ে গেল স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশনিও এখনও চালু হয়নি। এমন অবস্থায় পারিশ্রমিক না পেয়ে বর্তমানে বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত আংশিক সময়ের শিক্ষক, শিক্ষিকারা নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন। এদিকে আপদকালীন এ পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্য পাওয়ার আশায় সম্প্রতি ওই শিক্ষক শিক্ষিকারা আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। স্কুল বন্ধ থাকলেও যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কিছু পারিশ্রমিক দেন সেই দাবি তাঁরা প্রশাসনের কাছে রাখেন।
পশ্চিমবঙ্গ আংশিক সময়ের স্কুল শিক্ষক সংগঠনের আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির সম্পাদক তন্ময় কর্মকার বলেন, আংশিক সময়ের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের কাজের স্থায়ীত্ব নেই। স্কুলে ক্লাস নেওয়ার বিনিময়ে সামান্য কিছু পারিশ্রমিক মেলে। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় হাত এখন ফাঁকা। প্রাইভেট টিউশনিও বন্ধ হয়ে আছে। তবে লকডাউনে স্কুলবন্ধ থাকাকালীন কয়েকটি স্কুল অংশিক সময়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সামান্য টাকা দিয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুল তা দেয়নি। এ পরিস্থিতিতে ওই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।
সংগঠনের সভাপতি অলোক রায় বলেন, আপৎকালীন সাহায্য দানের জন্য আমরা সংগঠনের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে সম্প্রতি গিয়েছিলাম। জেলাশাসকের দপ্তরে একটি দাবিপত্রও দিয়ে এসেছি। স্কুলবন্ধ থাকার পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ থাকার জন্য আরও সমস্যা বেড়েছে।
আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের শিলবাড়িহাট হাইস্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি নিখিলকুমার পোদ্দার বলেন, আমাদের স্কুলে একজন আংশিক সময়ের অঙ্কের শিক্ষক আছেন। ওই শিক্ষক পারিশ্রমিক না চাইলেও এই পরিস্থিতিতে সামান্য কিছু টাকা না দিলে অমানবিক দেখায়। আমরা শীঘ্রই ওই শিক্ষককে ডেকে সামান্য টাকা হাতে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
কুমারগ্রাম ব্লকের বারোবিশা হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক নির্মলেন্দু ধর ও আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন শ্যামাপ্রসাদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপিণচন্দ্র রায় বলেন, আংশিক সময়ের ওই মাস্টারমশাইদের পারিশ্রমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ না দিলে অমানবিক দেখাবে।
আলিপুরদুয়ার জেলায় বিভিন্ন হাইস্কুলে প্রায় ২০০জন আংশিক সময়ের শিক্ষিক শিক্ষিকা রয়েছেন। স্কুল বন্ধ থাকার পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশনিও বন্ধ হয়ে থাকার জন্য এখন তাঁদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাঁরা চাইছেন দ্রুত স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন গোটা বিষয়টি বিচেনা করে তাঁদের কিছু টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করুক।