কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বিজেপির একেবারে নিচুস্তরে বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে। ওই টিমের সদস্যরাই ২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলের সদস্যদের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছে। রীতিমতো পরিকল্পনা করে এগচ্ছে টিম। বিজেপি’র জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে, শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে ওই টিমের আলাপ আলোচনা শেষ হলেই তারপর দল ভাঙিয়ে দখল নেওয়া হবে পঞ্চায়েতগুলি।
বিজেপি’র নিশানায় থাকা শাসক দলের ওই ২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পঞ্চায়েত রয়েছে কুমারগ্রাম ব্লকে। তারপরেই রয়েছে ফালাকাটা ও মাদারিহাট ব্লক। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি’র নিশানায় থাকা ওই পঞ্চায়েতগুলির বেশির ভাগ সদস্যই এখন পঞ্চায়েত অফিসে যেতে গা ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন। অনেক সদস্য তো লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর থেকে আর অফিস মুখো হননি। শাসক দলের ওই পঞ্চায়েতগুলির অনেক পঞ্চায়েত সদস্যকেই চায়ের দোকানে, পাড়ার আড্ডায় স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে হাসিমস্করায় মাততে দেখা যাচ্ছে।
বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, শাসক দলের হাতে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির অনেক সদস্যই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা তৃণমূলের হাতে থাকা শুধু ২৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড দখলের লক্ষ্যে এগচ্ছি। এক সপ্তাহের মধ্যেই শাসক দলের হাতে থাকা ওই পঞ্চায়েতগুলির পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোহন শর্মাও বলেন, আমাদের পঞ্চায়েত বোর্ড হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। কারণ বিজেপি’র হাতে প্রচুর টাকা। টাকা ছড়িয়ে ওরা আমাদের হাতে থাকা পঞ্চায়েতগুলির দখল নিতে চাইছে। তবে পঞ্চায়েত আইনে বলা আছে আড়াই বছরের আগে বিজেপি কোনও পঞ্চায়েতেই অনাস্থা আনতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারে ৬৬টি পঞ্চায়েত আছে। এরমধ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি আটটি, কংগ্রেস ও বামেরা একটি করে এবং তৃণমূল ৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে। বাকি ১৩টি পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়। ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলি রয়েছে মাদারিহাট, কুমারগ্রাম, ফালাকাটা, কালচিনি ও আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকে। ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতের বেশি আছে মাদারিহাটে।
পঞ্চায়েত ভোটের পরে বিরোধী বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস সদস্যদের ভাঙিয়ে তৃণমূল ত্রিশঙ্কু হওয়া ১৩টি পঞ্চায়েতেই বোর্ড গঠন করে। কংগ্রেসের হাতে থাকা কালচিনির মেন্দাবাড়ি ও বামেদের হাতে থাকা ফালাকাটার ধনীরামপুর-২ পঞ্চায়েতটিরও দখল নেয় তৃণমূল। এমন কী বিজেপি’র দখলে থাকা দু’টি পঞ্চায়েতেরও দখল নেয় তারা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা ভোটের পরে প্রবল বিজেপি হাওয়ায় ও জেলা জুড়ে নতুন সমীকরণের জেরে পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হাতে হেনস্থা ও মার খাওয়ার ভয়ে শাসক দলের পঞ্চায়েতরা তাই অনেকেই এখন গেরুয়া শিবিরে ভিড়তে চাইছেন।