কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ লোকসভা নির্বাচনে এবার কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে দীপা দাশমুন্সির নাম ঘোষণা হতে কিছু দেরি হয়। নাম ঘোষণার পরে দীপা জেলায় আসেন। নির্বাচন পর্বে তিনি সারা জেলাজুড়ে ভোট প্রচার করেন। কিন্তু লড়াইয়ে তিনি বা তাঁর দল চতুর্থ স্থানে নেমে যায়। এরপর জেলা ছাড়েন দীপা। আর তিনি এমুখো হননি। স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে জেলায় কংগ্রেসের যে মুষ্টিমেয় কর্মীবাহিনী আছে তাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
এনিয়ে কথা বলার জন্য দীপা দাশমুন্সিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর নম্বরটি সুইচড অফ ছিল। তবে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, এটা ঠিক দীপা দাশমুন্সি ভোটের ফল ঘোষণার পর আর জেলায় আসেননি। তবে এনিয়ে কারও কোনও ক্ষোভ নেই। আমরা ব্লক স্তরে ভোটের ফল নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। জেলা স্তরেও পর্যালোচনা করা হবে। জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এখনও পর্যন্ত দলের সব স্তরের নেতাদের নিয়ে বসা হয়নি। প্রার্থীর আসার অপেক্ষায় সকলে রয়েছে। জেলা কংগ্রেসের অপর সাধারণ সম্পাদক তথা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য মিহির দাশগুপ্ত বলেন, ফলাফল নিয়ে কোনও পর্যালোচনাই হয়নি। এটা হওয়া উচিত ছিল। করণদিঘি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি তথা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য শেখ সামসুল বলেন, দলের হারের পর এখনও পর্যন্ত জেলা কমিটির কোনও বৈঠক হয়নি। একটা হালছাড়া অবস্থা চলছে। প্রার্থীও নির্বাচনের পর এখনও আসেননি। কোনও খোঁজও নেননি। মোহিতবাবু ফোন করেছেন। কিন্তু কোনও বৈঠক ডাকেননি। হারের পর প্রার্থী ও নেতাদের পাশে পেলে কর্মীদের মনোবল আসত।
একদা কংগ্রেসের দুর্গ রায়গঞ্জে এবার কংগ্রেসের এবার ভরাডুবি হয়েছে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি সিপিএমের মহম্মদ সেলিমের কাছে পরাজিত হন। কংগ্রেস সেবার দ্বিতীয় স্থানে ছিল। এবার সেখান থেকে কংগ্রেস একেবারে চতুর্থ স্থানে নেমে এসেছে। নির্বাচনের আগে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটি কংগ্রেস পাবে কি না তা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়। কিন্তু ভোট প্রচারের সময় দলেরই একাংশে সমালোচনা ওঠে প্রার্থীকে সারা বছর জেলায় পাওয়া যায় না। সংগঠনের কোনও কাজে তিনি নেই। জেলায় দলের কোনও কর্মসূচিও থাকে না। সংগঠন তলানিতে। বুথ কমিটিগুলি ভেঙে গিয়েছে। দল ছেড়ে অনেকেই ভিন দলে চলে গিয়েছেন। এ অবস্থায় শুধু বিরোধীদের বিরোধিতা করে আর প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির নামে ভোট বৈতরণী পার হওয়া মুশকিল। ফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে হয়েছেও তাই। কর্মীরাই বলাবলি করছেন, আগীম দিনে জেলা কংগ্রেসের কি হাল হবে সেটাই বড় প্রশ্ন। এমনকী দল টিকিয়ে রাখার জন্য যা অত্যন্ত জরুরি সেই ফলাফল পর্যালোচনা বৈঠকই জেলা কংগ্রেস করে উঠতে পারিনি। পুরো পরিস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশে মান-অভিমান-ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। হতাশাও ছড়িয়েছে সর্বস্তরে।