কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এসএফআই’র সম্পাদক মিঠুন রায় বলেন, গত বছর আমরা দেখেছি জেলার বহু স্কুল একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফি’র থেকে অনেক বেশি নিয়েছে। মাধ্যমিকের ফল বেরনোর পর মে মাসে আমরা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে লিখিতভাবে জানিয়েছি যাতে কোনও স্কুল অতিরিক্ত ফি না নেয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। গ্রামের স্কুল ও শহরের স্কুলের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভর্তি ফি’র কোনও মিল নেই। এবারও গতবারের মতো অতিরিক্ত ফি কোনও স্কুল নিলে আমরা সংশ্লিষ্ট স্কুলের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ জানাব।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অতনু রায় বলেন, জেলায় বিভিন্ন স্কুলে বিভিন্নরকম ভর্তি ফি, এটা হতে পারে না। সব স্কুল যাতে সমান ফি নেয় সেদিকে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা নজর রাখছেন। শিক্ষাদপ্তর নির্ধারিত ২৪০ টাকার এক টাকা যাতে বেশি কোনও স্কুল না নেয় সেটা দেখব। আমরা এবিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলব।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, সরকারি নির্ধারিত ভর্তির ফি’র বেশি নেওয়ার বিষয়টির আমরা ঘোর বিরোধী। আর্থিকভাবে পিছিয়েপড়া অনেক পড়ুয়াই আছে যাঁদের ভর্তির ফি জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়। একাদশ শ্রেণীর ভর্তির ফর্ম বিলি করা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই ভর্তি নেওয়া শুরু হবে। আমরা গোটা ভর্তি প্রক্রিয়াটিতেই নজর রাখছি।
নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক কল্যাণকুমার দাস বলেন, জেলার অনেক স্কুল রাজ্য সরকারের নিয়মকে মানে না। নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ফি নিয়ে ভর্তি নেওয়া হয়। কিছু স্কুল একাদশ শ্রেণীর ভর্তির ফর্মের জন্যও টাকা নেয়। সরকারি নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পরেও একাংশ স্কুল বিভিন্ন খাতে টাকা নেয়। স্কুল ভবন উন্নয়ন বাবদ টাকা ছাড়াও খেলাধুলো, ল্যাবরেটরি ফি নেওয়া হয়ে থাকে। তবে ওসবের কোনও বৈধ রশিদ দেওয়া হয় না। এবারে যেন কোনওভাবেই বর্ধিত টাকা না নেওয়া না হয় সেবিষয়টি আমরা নজরে রাখছি।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) মৃণালকান্তি রায় সিংহ বলেন, স্কুল ছুটি থাকাকালীন আমার দপ্তরে ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিতে যাতে স্কুলগুলি অতিরিক্ত ফি না নেয় সেটা দেখতে বলেছে। শিক্ষাদপ্তরের বেঁধে দেওয়া ফি’র বাইরে যাতে স্কুল টাকা না নেয় সেবিষয়ে আমি জেলার প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকে ইমেল করেছি। আমার দপ্তর থেকেও এবিষয়ে নজরদারি চালানো হবে।