কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
বাসিন্দারা জানান, মহিপুর-বাঙালবাড়ি রাস্তায় প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা দীর্ঘদিন থেকেই বেহাল হয়ে পড়ে আছে। সামান্য বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে যায় রাস্তা। ফলে স্থানীয় বালুফাড়া, লক্ষীডাঙা, শিয়ালডাঙা, মহিপুর, বাঙ্গালবাড়ি, মহিপুর সহ আশেপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় চলাচল করতে চরম সমস্যায় পড়ছেন। জল পেরিয়ে সাইকেল, মোটর সাইকেল, ভ্যান, রিকশ নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়েদুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মহিপুর বাঙালবাড়ি গ্রামীণ রাস্তার বালুফাড়া এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলে জল জমে যায়। এর ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী স্কুল পড়ুয়ারা চরম সমস্যায় পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা সাজেদা খাতুন, কোহিনুর খাতুন, মহম্মদ আসারুদ্দিনরা বলেন, হেমতাবাদের বাঙ্গালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসন এলাকায় বালুফাড়া গ্রামের ওই রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরেই জল জমে যায়। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে আমরা স্থানীয় পঞ্চায়েত এমনকী হেমতাবাদের বিডিওকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। এখানকার পরিস্থিতির ছবি মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও করে তা তাঁকে পাঠিয়েও ছিলাম। তা সত্ত্বেও এব্যাপারে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়েই এই পথ অবরোধ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছি। এলাকায় বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুল, হাই স্কুল, কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। নিত্যদিন কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করে। কিন্তু রাস্তায় জল জমে থাকার কারণে চরম সমস্যায় পড়তে হয় সকলকে। পাশাপাশি অসুস্থ রোগী ও তাঁর আত্মীয়দেরও সমস্যায় পড়তে হয়। অবিলম্বে এই রাস্তা মেরামত করতে হবে। না হলে আবারও আন্দোলন হবে। এদিন পুলিস প্রশাসনের আশ্বাস পেয়েই অবরোধ তোলা হয়েছে।
যদিও এ ব্যাপারে হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের শেখর রায় বলেন, শাসন এলাকার বালুফাড়া গ্রামের এই সমস্যা দীর্ঘদিনের তা মানছি। তবে ওই এলাকায় আমরা নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ড্রেন বানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এলাকার মানুষ নিজেরাই রাস্তার দু'ধারে জায়গা দিতে নারাজ। সে কারণেই আমরা ড্রেন তৈরি করতে পারিনি। এছাড়াও সেখানকার জমা জল কোন জায়গায় গিয়ে পড়বে সেই জায়গাও ঠিক করতে পারেননি গ্রামবাসীরা। ফলে ওখানকার জমা জল পাম্প সেটের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু সেটা সাময়িক সমাধান। স্থায়ীভাবে সমস্যার সমাধান করতে হলে ড্রেন বানাতে হবে। ওই এলাকার মানুষ রাস্তার পাশে জায়গা না ছেড়েই বাড়ি ঘর তৈরি করে ফেলেছে। সে কারণে ড্রেন বানানো যাচ্ছে না। এখন কীভাবে ড্রেন তৈরির জায়গা পাওয়া যাবে তা বাসিন্দাদেরই ঠিক করতে হবে। আমরা এলাকায় গিয়ে কথা বলব।