কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
বাম আমলে খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন পরেশবাবু। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তাঁর ঝুলিতে রয়েছে। জেলায় বাম আন্দোলনে অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। কমল গুহের পুত্র উদয়ন গুহ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেও পরেশবাবু সিংহ আঁকা পতাকা ছেড়ে অন্য কোথাও যাননি। তবে লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে আচমকা তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। দলের তৎকালীন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। এদিকে প্রাক্তন সংসদ সদস্য পার্থপ্রতীম রায় যাতে কোনওভাবেই লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না পান সেজন্য দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী কলকাঠি নেড়েছিল বলে অভিযোগ। তার জেরে পার্থবাবু টিকিট না পেলেও প্রাক্তন বাম নেতা পরেশবাবুর ভাগ্যে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার টিকিট জুটে যায়। গোটা নির্বাচন পর্বে রবীন্দ্রনাথবাবু তাঁর হয়ে ব্যাপক প্রচার করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরেশবাবু জেতেননি। কিন্তু কেন এই বিপর্যয়? পরেশবাবু এক্ষেত্রে কার্যত দলের অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দলের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর মতে লোকসভা নির্বাচনের আগে নিচুতলায় দল যথেষ্ট সংগঠিত ছিল। দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে জেলা নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ ছিল। কিন্তু মূলত ঘরোয়া কোন্দলের জেরে দলেরই একাংশ তলায় তলায় প্রার্থীর বিরুদ্ধেই কলকাঠি নেড়েছেন। এর জেরে কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। অঞ্চল ও বুথস্তরের ভোট মেশিনারি নির্বাচনের দিনও বিশেষ কাজ করেনি। এই সুযোগটাই বিজেপি কাজে লাগিয়েছে। এমনকী নির্বাচনের পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। কর্মীদের মধ্যে দলের জেলা নেতৃত্বের রাশ একেবারেই আলগা হয়ে গিয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা দল বেঁধে বিজেপিমুখী হচ্ছেন। অথচ তাঁদেরকে আটকানোর উদ্যোগ তলানিতে পৌঁছেছে। দলের নিচুতলার কর্মীরা এনিয়ে বিভ্রান্ত। দলের অভিজ্ঞ নেতাদের মতে, এখনই এব্যাপারে রাশ টানতে না পারলে আগামী দিনে আরও বড়সড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে বামেদের একাংশও পরেশবাবুকে শায়েস্তা করতে তলায় তলায় বিজেপিকে সমর্থন করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বাম কর্মীদের একাংশের মতে বর্তমান পরিস্থিতিতে পরেশবাবু ফরওয়ার্ড ব্লকে থাকলে কর্মীরা কিছুটা মনোবল ফিরে পেতেন। এনিয়ে পরেশবাবুর কি আদৌ কোনও আফশোস আছে? এব্যাপারে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রাক্তন এই বাম নেতা। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কী পরেশবাবু রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিতে চান? পরেশবাবু বলেন, রাজনৈতিক ময়দানেই থাকতে চাই। বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনাতেও তিনি জল ঢেলে দিয়েছেন।