কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
বর্তমানে নতুন কমিটি না করে অ্যাডহক ভিত্তিতে দলের পরিচিত নেতাদের সামনে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন বর্তমান সভাপতি। সেই নিরিখেই সাধনবাবুর বৈঠকে নেতাদের ডাকা হয়েছে। কিন্তু দল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকের পরেই দ্রুত রদবদলের প্রসঙ্গটি সামনে এসে পড়বে। যা জুনের চতুর্থ সপ্তাহে জেলা পর্যবেক্ষকের প্রথম জেলা সফরে আরও গতি পেতে পারে। দলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর অবশ্য বলেন, দলের পর্যবেক্ষক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। সেই কারণে দলের নেতাদের কলকাতায় বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সেখানে কীভাবে দলকে শক্তিশালী করা যায় সেই বিষয়টি উঠবে বলাই বাহুল্য। আবার জেলার সমস্ত কমিটি ভেঙে দিয়ে একটি অ্যাডহক কমিটি গড়ে বর্তমানে দল পরিচালিত হচ্ছে। ফলে স্থায়ী কমিটি গড়ার প্রসঙ্গ আসাও অস্বাভাবিক নয়। দলের প্রবীণ নেতা তথা পর্যবেক্ষকের সঙ্গে আমার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আমরা ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি মজবুত সাংগঠনিক ধারায় দলকে পরিচালিত করতে চাইছি, এটুকু বলতে পারি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভার ফলপ্রকাশের পরপরই দলের সভাপতিকে সরিয়ে দিয়ে মৌসম নুরকে সভাপতি পদে বসানোর মাধ্যমে নতুন সাংগঠনিক কাঠামো তৈরির ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। দলের নেতাদের সঙ্গে জেলা সভাপতির প্রথম বৈঠকে যে ইঙ্গিত প্রায় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। প্রথম বৈঠকেই নতুন সভাপতি জানিয়ে দিয়েছিলেন নেতার জন্য দল নয়। বস্তুত নেতাকেন্দ্রিক দলের ধারণা থেকে মজবুত সাংগঠনিক দল হিসাবে তৃণমূলকে গড়ে তোলার বিষয়টি তিনি খোলসা করে দিয়েছিলেন। আর এই কাজে প্রধান অন্তরায় ছিল দলের মাথাভারী সংগঠন।
দল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সাধন পাণ্ডেও ওই বিষয়টির পরিবর্তনের উপরে জোর দিয়েছেন। বস্তুত মালদহে তৃণমূলের প্রায় সমস্ত নেতাই নিজেদের পরিসরে জেলার সর্বময় নেতা হয়ে উঠেছিলেন। নতুন পর্যবেক্ষক এই মাথাভারী অবস্থার পরিবর্তন করার জন্যে জেলা সভাপতিকে পরামর্শ দিয়েছেন। আসন্ন বৈঠকে এই বিষয়টিই মুখ্য চর্চার বিষয় হতে পারে। একইসঙ্গে একেবারে বুথস্তর থেকে দলীয় রদবদলের বিষয়টি কার্যকরী করার পরিকল্পনাও ওই বৈঠকে দিয়ে দেওয়া হতে পারে।
দলের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার কলকাতার মানিকতলায় নিজের অফিসে সাধনবাবু মালদহ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেই বৈঠককে হাজির থাকার জন্যে জেলা সভাপতি মৌসম নুর মারফত দলের অ্যাডহক কমিটির জেলা নেতা ও দলের বিধায়কদের তিনি ডেকে পাঠিয়েছেন। সেখানেই দলের জন্যে একটি ছিপছিপে অর্থাৎ কম নেতৃত্ব বিশিষ্ট কমিটি তৈরি, দলের স্থানীয় পর্যবেক্ষক তুলে দেওয়া সহ একাধিক সাংগঠনিক পরিকল্পনা প্রবীণ নেতা সাধনবাবু দিতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে।