কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
পুরসভার চেয়ারম্যান তথা ইংলিশবাজারের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, পুরসভার নতুন পরিশ্রুত জল পরিষেবা খুবই খরচ সাপেক্ষ। নদী থেকে জল তুলে তা পরিশোধন করে একাধিক পাম্পের মধ্য দিয়ে তা শহর জুড়ে সরবরাহ করা হবে। ব্যয়বহুল ওই জল যাতে নষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করতে চাই আমরা। স্বাভাবিক প্রয়োজনে জল কতটা লাগছে তা দেখে নিতে হবে। একই সঙ্গে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা যেখানে পুরসভার নিখরচার জল ব্যবসায়িক কাজে লাগানো হয় তার ক্ষেত্রে কর ব্যবস্থা সংশোধন করা হবে। আমরা জল পরিষেবা পুরোপুরি চালু করেই মিটার বসিয়ে দেব। যাতে জল ব্যবহারের ঊর্ধ্বসীমা চিহ্নিত করা যায় এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ করা যায়। বাড়ির ব্যবহারের জন্য কোনও জলকর বসানো হচ্ছে না— এটাও পরিষ্কার করে দিতে চাই।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু কোটি টাকা ব্যয়ে ইংলিশবাজার পুরসভা নতুন করে বাড়ি বাড়ি জল পরিষেবা ব্যবস্থাকে সম্প্রতি উন্নত করেছে। পুরসভার সর্বত্র জল পরিষেবা দেওয়ার লাইনপাইপ বসানো সহ জল পরিশুদ্ধ করার ব্যবস্থাকে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। এরপরেও কিছু ছোট ছোট এলাকায় জল পরিষেবা পৌঁছনোর ক্ষেত্রে ঘাটতি থাকায় আরও একটি সংযোজিত প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আর এই নতুন পরিষেবার ক্ষেত্রে জলের অপব্যবহার পুরসভার ক্ষেত্রে অন্যতম বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইংলিশবাজার পুরসভার দাবি, আধুনিক পরিশ্রুত জল পরিষেবা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। কিন্তু তা পুরবাসীকে নিরখচায় সরবরাহ করা হয়। ফলে খরচ বাঁচাতেই জলের অপব্যবহার রোখা খুব জরুরি। এই ব্যবস্থা করতে গিয়েই একটি পরিবার সর্বোচ্চ কতখানি জল পাবেন তা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। এই ব্যবস্থা বাস্তবায়িত করতে জলের লাইন পাইপের সঙ্গে বাড়ি পিছু জলের মিটার বসিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরকর্তারা জানিয়েছেন, মিটার বসালে স্বাভাবিক ভাবে কতটা জল প্রয়োজন হতে পারে তার সম্পর্কে ধারণা মিলবে। তা থেকেই জল ব্যবহারের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া সহজ হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সীমা পার হলে ব্যবহারকারীরকে জরিমানা করার একটি ব্যবস্থা রাখা নিয়ে চর্চা চলছে। এর পাশাপাশি, নতুন জল পরিষেবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে দেওয়ার ক্ষেত্রে জলকর বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুর কর্তাদের দাবি, এতে ব্যয়বহুল পরিষেবা আমজনতার জন্যে নিখরচায় দেওয়া সহজ হবে। এক্ষেত্রে মিটারের তথ্য অনুসারে জলের জন্য কর নেওয়া হবে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুরকর্তা বলেন, পূর্ণাঙ্গভাবে নতুন জল পরিষেবা চালু হয়ে গেলেই মিটার বসিয়ে দিয়ে জল ব্যবহারে লাগাম টানা হবে। নইলে জল নষ্ট করার প্রবণতা একটি ভালো পরিকল্পনাকে নষ্ট করে দিতে পারে। তিনি বলেন, শহরবাসীকে পরিশ্রুত পানীয় জল দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেকাজ নিখরচায় করাও হয়। এখন পরিষেবা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে প্রচুর খরচ। বাসিন্দারা প্রয়োজনমতো জল ব্যবহার করুন তাতে অসুবিধা নেই। কিন্তু এর অপচয় হলে তা বরদাস্ত করা হবে না। কারণ এক দিকে জলের অপচয় হবে, আর অন্যদিকে জলের চাহিদা মেটানো যাবে না এ হতে পারে না।