কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
শিলিগুড়িকে করিডর করে বেশ কিছুদিন ধরেই বর্মা টিক কাঠ পাচার শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আগেও শিলিগুড়িতেই কোটি টাকার বর্মা টিক কাঠ উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, মায়নামার থেকে ঘুরপথে শিলিগুড়ি হয়ে প্রথমে কলকাতা পরে দিল্লি সহ দক্ষিণ ভারতে মোটা টাকার বিনিময়ে এই কাঠ পৌঁছে যাচ্ছে। সূত্রের খবর মোতাবেক অভিযান শুরু করে বনদপ্তর। সম্প্রতি কয়েকটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ এই কাঠ উদ্ধার হয়েছে। আগে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালাতেই ফের সাফল্য মিলল। রবিবার গভীর রাতে বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে তিনটি ট্রাক ও দুটি ছোট গাড়ি থেকে এই বিপুল পরিমাণ কাঠ উদ্ধার হয়। বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন এই কাঠ কলকাতা হয়ে দিল্লি সহ দক্ষিণ ভারতে পাচারের ছক ছিল। বেলাকোবার রেঞ্জার সঞ্জয়বাবু বলেন, ধৃত জিয়ারুল এই কাঠ পাচার চক্রের কিং পিন। সে অসমের বাসিন্দা হলেও শিলিগুড়িতে বসেই এই বর্মা টিক কাঠের পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ করত। সে শিলিগুড়িতেই বিলাসবহুল হোটেলে থেকে ক্যারিয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। কোন রুটে কোন ট্রাক চলাচল করবে সবটাই তার নিয়ন্ত্রণে থাকত।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, প্রতি মাসে প্রায় ১০০ ট্রাক বর্মা টিক কাঠ ঘুরপথে শিলিগুড়ি হয়ে দক্ষিণ ভারতে পাচার হয়। প্রতি ক্ষেত্রেই একাধিক ট্রাক একযোগে শিলিগুড়ি হয়ে যায়। এতে প্রশাসনিক স্তরে কেউ জড়িত আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিষয়টি বনদপ্তরের বড় বড় কর্তা ব্যক্তিদের ভাবিয়ে তুলেছে। যদিও এনিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু মন্তব্য করতে নারাজ বনদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা। চোরা পথে বর্মা টিক কাঠের পাচার চক্রে ইতি টানতে তৎপর হয়েছে বনদপ্তর। এদিকে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বনদপ্তরের আধিকারিকরা একাধিক নতুন তথ্য জানতে পেরেছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান জারি থাকবে বলে দপ্তর জানিয়েছে।