শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
গাজোল ব্লকের বাসিন্দারা বলেন, গাজোলের থেকে ছোটো দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর পুরসভা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গাজল ব্রাত্য হয়ে আছে। গাজোল-১ এবং ২ ব্লক নিয়ে পুরসভায় করার আর্জি এবার প্রার্থীদের রাখা হবে। এমনটা বাস্তবায়িত হলে এলাকার আরও বেশি উন্নয়ন হবে।
গাজোল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিধানচন্দ্র রায় বলেন, আমরা বহুবার জনপ্রতিনিধি গাজোলকে পুরসভা করার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তা হয়নি। আমরা আবারও এই দাবি রাখব। যাঁরাই গ্রামে প্রচার করতে আসবে তাঁদের কাছে আমরা গাজোলকে পুরসভা করার বিষয়টি জানাব।
গাজোল কলেজের অধ্যকক্ষ মহম্মদ সামসুল হক বলেন, গাজোল থেকে সহজেই সড়ক পথে মালদহের যেকোনও জায়গায় যাওয়া যায়। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা যথেষ্টই উন্নত। গাজোলকে যাতে পুরসভা করা হয় সেই দাবি আমরাও রাজনৈতিক দলের নেতামন্ত্রীদের জানাব।
উত্তর মালদহ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশাখান চৌধুরী বলেন, গাজোল এখন অন্যতম সদর এলাকা হয়ে গিয়েছে। গাজোলের দু’টি ব্লকেরই বহু উন্নয়ন হয়েছে। বিভিন্ন সময় সেখানে গিয়ে পুরসভা গঠনের দাবির বিষয়টি শুনেছি। সেখানে যাতে পুরসভা গঠন করা যায় সেটা দেখা হবে।
মালদহ জেলা বিজেপি’র সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, গাজোল সাম্প্রতিক সময়ে মালদহের একটি উন্নত এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে পুরসভা গঠন হলে আরও উন্নয়ন হবে। এব্যাপারে আমাদের প্রার্থীকে জানানো হবে।
উত্তর মালদহ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মৌসম নুর বলেন, পুরসভা গঠন গাজোল ব্লকের বাসিন্দাদের ন্যায্য দাবির একটি। রাজ্যে বামেদের সময় থেকে এই দাবি উঠছে। আমি ওঁদের এই দাবি সমর্থন জানাই। আগামী দিনে ওঁদের এই দাবি আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দৃষ্টিতে আনব।
মালদহ জেলার ১৫টি ব্লক রয়েছে। এর মধ্যে গাজোল ব্লক সবচাইতে বড়। এই ব্লকে ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। শুধু বড় ব্লক হিসেবে নয়, সদর হিসেবেও এর অবস্থান একবারে মাঝখানে রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে গাজোলকে পুরসভা করার দাবি উঠেছে।