কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
শারদ পাওয়ারকে প্রমাণ করতে হবে, তিনি সিম্বলের থেকেও বড়। মানুষ তাঁকে দেখে ভোট দেয় জাতীয়তাবাদী কংগ্রেসকে (এনসিপি)। সুতরাং ভাইপো অজিত পাওয়ারকে মোদি যতই টেনে নিন, শারদ পাওয়ারের প্রভাব-প্রতিপত্তি খর্ব করতে পারেননি। আবার অজিত পাওয়ারের কাছে জীবন-মরণ সমস্যা। তাঁর কাছে উপ মুখ্যমন্ত্রিত্ব আছে। দলের অফিশিয়াল প্রতীক আছে। মোদি ফ্যাক্টরও আছে। এরপরও যদি অজিত ভোটের ময়দানে শারদ পাওয়ারকে পরাস্ত করতে না পারেন, তাহলে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার সঙ্কটে পড়বে। বোঝা যাবে কাকার ছায়ায় তাঁর উত্থান। কাকা ছাড়া তিনি জিরো।
পার্টি নয়। নেতা নয়। টাকা নয়। শক্তি নয়। স্লোগান নয়। ইস্যু নয়। ভোটের ময়দানে নির্বাচনী প্রতীকের মূল্য যে কতটা অমূল্য আর অসীম হতে পারে, সেকথা ভারতের মধ্যে দু’টি মানুষ ও তাঁদের দলের নেতা-কর্মীরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। শারদ পাওয়ার এবং উদ্ধব থ্যাকারে। তাঁদের দল ভেঙে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি তাঁদের অনুগত নেতা ও ভোটব্যাঙ্ক ছিনিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু সেই সব ধাক্কা সামলে আবার ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। অতীতে এরকম বহু উদাহরণ আছে। কিন্তু শারদ পাওয়ার এবং উদ্ধব থ্যাকারে আপাতত প্রতীক-সঙ্কটেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। ভারতের মতো দেশে ভোটদানের অন্যতম চালিকাশক্তি নির্বাচনী প্রতীক। গ্রামে গঞ্জে স্বল্প শিক্ষিত ভোটারদের কাছে প্রার্থীর নাম অথবা দলের নাম বড় কথা নয়। তাদের কাছে আসল প্রতীক। তাই প্রতিটি দলের পক্ষ থেকেই ভোটারদের কাছে গিয়ে বারংবার বলে দেওয়া হয় যে, কোন চিহ্নে ভোট দিতে হবে। এতকাল ধরে গোটা মহারাষ্ট্র জেনে এসেছে শারদ পাওয়ারের দল মানে ঘড়ি চিহ্ন। আর শিবসেনা মানে তিরধনুক। কিন্তু দল ভেঙে যাওয়ার ধাক্কার থেকেও এই দুই দলের কাছে আপাতত প্রধান সঙ্কট হয়েছে প্রতীক জটিলতা। এবার যে বালাসাহেব থ্যাকারের দলকে মশাল চিহ্নে ভোট দিতে হবে, আম জনতাকে সেটা বোঝাতেই কালঘাম ছুটে যাচ্ছে উদ্ধব থ্যাকারের শিবসেনার। আবার ঘড়ি চিহ্নে নয়, ট্রাম্পেট প্রতীকে ভোট দিলে তবেই শারদ পাওয়ারের দলের ঝুলিতে ভোট যাবে, তা বোঝাতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে ‘আদি এনসিপিকে’। পার্টি বড় না ব্যক্তি? চিরাচরিত এই রাজনৈতিক প্রশ্ন নিয়ে বহু আকাশ-পাতাল চর্চা হয়েছে অতীতে। কোনও উত্তরেই চিরন্তন সত্য প্রমাণিত হয়নি। আর তাই একটিই চর্চায় মুম্বই এখন উত্তাল—আগামী ৪ জুন এই চারটি দলের মধ্যে দু’টি মানুষের রাজনৈতিক কেরিয়ার প্রায় সমাপ্ত হতে চলেছে। যাঁরা ব্যর্থ হবেন। কারা তাঁরা?
তবে অজিত পাওয়ার এবং একনাথ শিন্ধের নতুন পরিচয়ের কলঙ্কমোচন করাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। মহারাষ্ট্র জুড়ে তাঁদের বিরুদ্ধে অন্যতম বিশেষণ চালু হয়েছে। গদ্দার!