কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
সোমবার জেলাশাসক শামা পারভীন বলেন, আবাসে ডিজিটাল সেল্ফ ডিক্লারেশনের কাজ পাইলট হিসেবে আমাদের জেলা থেকে শুরু হচ্ছে। উপভোক্তারা আঞ্চলিক ভাষাতেই সেল্ফ ডিক্লারেশন দিতে পারবেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক রৌণক আগরওয়াল বলেন, চারটি ভাষা থাকছে। আমরা পঞ্চায়েতস্তরে ক্যাম্প করে ওই ডিক্লারেশন নেওয়ার কাজ করব।
‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে যাতে কোনওরকম অভিযোগ না ওঠে, সেব্যাপারে নিশ্চিত হতেই এই ‘ডিজিটাল মুচলেকা’ নিতে চাইছে রাজ্য। প্রশাসন সূত্রে খবর, এমন হতে পারে, কেউ ‘যোগ্য’ নন, অথচ তাঁর নাম কোনওভাবে আবাসের তালিকায় উঠে গিয়েছে। পরে সেই ব্যক্তি দাবি করলেন, তিনি আবেদন করেননি কিংবা জানেনই না কীভাবে তাঁর নাম উঠল। তেমনটা যাতে না হয়, সেকারণে আবাসের উপভোক্তাদের কাছ থেকে ‘সেল্ফ ডিক্লারেশন’ নেওয়া হবে। এছাড়া এই ‘মুচলেকা’ নেওয়ার আরও একটি কারণ, উপভোক্তাকে দিয়েই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর যাচাই এবং আবাসের ঘর পেতে যে ‘কাউকে টাকা দিতে হয়নি’ তাতে নিজেই সম্মতি জানাবেন তিনি। যদি সেই উপভোক্তা মুচলেকার বয়ানের সঙ্গে একমত হতে না পারেন, তাঁর যদি কোনও অভিযোগ থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানানোরও ব্যবস্থা থাকছে টোল ফ্রি নম্বরে। উপভোক্তা যদি পড়তে না পারেন, তাহলে তাঁকে ডিক্লারেশনের বয়ান শোনানোর ব্যবস্থা থাকছে পোর্টালে। সেক্ষেত্রে চারটির মধ্যে তিনি যে ভাষায় স্বচ্ছন্দ্য, সেই ভাষাতেই শুনতে পাবেন ‘বাংলার বাড়ি’ পাওয়ার জন্য দেওয়া তাঁর যাবতীয় তথ্য। সবটা শুনে, জেনে-বুঝে তিনি সম্মতি জানিয়ে আধার নম্বর দিলেই সঙ্গে সঙ্গে ওটিপি চলে যাবে উপভোক্তার মোবাইলে। সেই ওটিপি দেওয়ামাত্র সম্পন্ন হবে ‘ডিজিটাল মুচলেকা’ গ্রহণের কাজ। যদি কারও আধারের সঙ্গে মোবাইল লিঙ্ক করা না থাকে, তাঁদের জন্য বায়োমেট্রিকের ব্যবস্থা থাকবে।