গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
১৫ মে তমলুকে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অতিনিম্ন, অশালীন ও কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ১৬ মে তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রীকে ‘অশালীন’ ভাষায় আক্রমণ করে ‘নিম্নরুচি’র পরিচয় দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি। নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন তিনি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ফৌজদারি মামলা শুরু করতে হবে।
তার প্রেক্ষিতে শোকজ-সহ অভিজিতের জবাব তলব করে কমিশন। সোমবার শোকজের জবাব দেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু কমিশন তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এরপর মঙ্গলবার রীতিমতো নোটিস পাঠিয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিনি কোনওরকম প্রচার করতে পারবেন না।
ওইসঙ্গে নোটিসে কমিশন স্পষ্ট করেছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কুরুচিকর ব্যক্তি-আক্রমণে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ভারতীয় সমাজে এবং সংবিধানে মহিলাদের বিশেষ স্থান রয়েছে। তাঁদের বিশেষ সম্মানের চোখে দেখা হয়। তাই একজন নারীর সম্মানরক্ষার জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। দেশের নির্বাচনে মহিলাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিরও চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের সময় যাতে কোনও মহিলা অপমানিত না-হন, সেদিকেও কড়া নজর রয়েছে কমিশনের। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তা ‘ভারতে একজন নারীর পক্ষে মর্যাদাহানিকর। এক্ষেত্রে বিজেপি প্রার্থীর ভূমিকা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, একইসঙ্গে অনভিপ্রেত এবং দুঃখজনক। মহিলাদের সম্মান করাই পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি। বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্য সেই সংস্কৃতিকেও ধাক্কা দিয়েছে। সেই বিবেচনা করেই অভিজিতের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে কমিশন। ভবিষ্যতে এধরনের মন্তব্য করা থেকে তাঁকে বিরত থাকার জন্যও বলা হয়েছে। এনিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি লিখেছেন, ‘বিজেপিতে সকলেই শুভেন্দু অধিকারী। মুখ খুললেই নর্দমা!’