কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
এ তো গেল কলকাতার কথা। নিয়ম ভাঙার কারণে রাজ্যজুড়ে প্রায় ১৬টি ইউএসজি ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে সরকার। কলকাতা এবং রাজ্য দুই ক্ষেত্রেই শুধু লাইসেন্স বাতিল নয়, ইউএসজি মেশিনগুলিও ‘সিল’ করে দিয়েছে তারা, যাতে কোনভাবেই ওইসব বিতর্কিত মেশিন দিয়ে কোনও আসন্নপ্রসবার ইউএসিজি না-করা যায়। নিয়ম ভাঙায় রাজ্যজুড়ে ৪০টি ইউএসজি ক্লিনিককে শো-কজও করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি কলকাতার। তারপরই রয়েছে বাঁকুড়া। কেন্দ্রীয় আইন না মেনে কেন তারা কাজকর্ম চালাচ্ছিল, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ২ ও ৩ মে এই আইনের রূপায়ণ নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্তারা জরুরি বৈঠকে বসেন। ছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডঃ সিদ্ধার্থ নিয়োগী এবং অন্যরা। রাজ্যের সমস্ত নিয়ম ভেঙেছে যেসব ইউএসজি সেন্টার, সেগুলির মালিক ও কর্তাদের সেখানে ডেকে পাঠানো হয়।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, সবসুদ্ধ ১৬০টি ইউএসজি ক্লিনিককে ডাকা হয়েছিল। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই গত তিন থেকে চার বছর ধরে লাগাতার অভিযোগ আসছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে এখন প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউএসজি সেন্টার আছে। এর মধ্যে শুধু কলকাতাতেই আছে হাজারখানেক। প্রি-কনসেপশন অ্যান্ড প্রি-নেটাল ডায়াগনস্টিক টেকনিকস (পিসিপিএনডিটি) আইন অনুযায়ী এগুলোর উপর নজরদারি চালান স্বাস্থ্যদপ্তর এবং কলকাতা পুরসভার অফিসাররা।
সূত্রের খবর, কলকাতায় রুবি এলাকা, মুকুন্দপুর, কালিকাপুর, বেহালা প্রভৃতি জায়গা মিলিয়ে দশটি সেন্টারের ইউএসজি মেশিন সিল করে দেন অফিসাররা। কারণ, দেখা গিয়েছিল, হয় কোনও সেন্টার লাইসেন্স নবীকরণ না করেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, নয়তো সেখানে কোনও সোনোলজিস্টই নেই, অথবা কার কবে কী কারণে ইউএসজি হল, ঠিক সময়ে সেই তথ্যই স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানানো হচ্ছে না। নতুন মেশিন কিনে নিজেদেরই একটি সেন্টার থেকে অন্য সেন্টারে নিয়ে গিয়েছে, চালুও করেছে, কিন্তু সে সম্পর্কে দপ্তরকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেছে, ঘটেছে এমন ঘটনাও।
দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, যখনই এই ধরনের প্রবণতা বাড়ে, ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ করা, তথ্য গোপন করা, বেআইনি কাজ করা এসবের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। তাই কোনও ছাড়াছাড়ি নয়।